পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(88)

 “অনাহারে, অনিদ্রায়, মুমূর্ষের মত
অবতীর্ণা হইলাম মিশরের তীরে
বহুদিনে। এই রণে গিয়াছিনু, সখি!
এণ্টনির সোহাগিনী, পৃথিবীর রাণী;
আসিলাম ভিখারিণী ডুবায়ে এণ্টনি।
চলিলাম গৃহমুখে, বিসর্জ্জন করি
মাথার মুকুট, ভাবী রোম-সিংহাসন,
এণ্টনির প্রেম,—হায়! মৈশরী-জীবন!—
ভূমধ্য-সাগরে; এই জীবনের মত
বিসর্জ্জিয়া যত আশা-আকাশ-কুসুম,
চলিলাম গৃহে;—কোন মতে, কোন পথে,
নাহি ছিল জ্ঞান। নিল উড়াইয়া যেন
মানসিক ঝটিকায়। প্রবেশি প্রাসাদে
দেখিলাম অন্ধকার! নাহি সে মিশর
রাজ্য, নাহি রাজধানী, দেখিনু কেবল,—
অন্ধকার,—মরুভূমি,—সমস্ত ভূতল
হইতেছে তরঙ্গিত ভীম ভূকম্পনে।
সেই অন্ধকার, সেই মরুভূমি-মাঝে
দেখিনু কেবল—মম সমাধি ভবন!
চলিলাম সেই দিগে্‌, উন্মাদিনী আমি!