পাতা:খগোলবিবরণ (নবীনচন্দ্র দত্ত).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W3 জৌতিষিক সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত

অহ্মদেশীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র দুই প্রকার, যথাসিন্ধান্ত , জ্যোতিষ এৰং ফলিত জ্যোতিষ । যদ্বারা গ্ৰহ চন্দ্রাদির গতি বিধি প্রভৃতির জ্ঞানলাভ হয়, তাহার নাম সিদ্ধান্ত ; আর যস্থার গ্রহাদির স্থিতি গতি অনুসারে মনুষ্যের সন সন্তান রোগাদি বিষয় ভদ্রাভদ্র ফল গণন। করা যায়, তrহার নাম কলিত । এদেশীয় কতকগুলি লোকের এই সংস্কার আছে যে, পৃথিবী দর্পণের ন্যায় সমভূমি, ত্রিকোণাকৃতি এবং নাগপুষ্ঠ কুৰ্ম্ম পৃষ্ঠ প্রভৃতি নানা আধারোগরি অস্বস্থিত ; এসংস্কার পুরাণাদির কল্পনা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে । প্রত্নত জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই নির্ণীত আছে যে , পৃথিবী ংগালাকার পিণ্ডের ন্যায়, এবং নিরাপার শূন্যেতে স্থিতি করিতেছে। ভাস্করাচাৰ্য্য কৃত গোলাধ্যায় পাঠ করিলে ইহা সপ্রমাণ হইবে গ্ৰহণাদি নৈসর্গিক ঘটনা সকল গণনা বিষয়ে এদেশের জ্যোতিৰ্ব্বেস্তাদিগের বিলক্ষণ নৈপুণ্য ছিল, কিন্তু কোন ২ বিষয়ে তা - দিগের মত ত্রান্তি সঙ্কুল ও অপরিস্ফুট ছিল, যাহা হউক তা হাদিগের এমন অভিমান ছিল না যে জ্যোতিষ সম্বস্বীয় যাবতীয় জ্ঞাতব্য বিষয তাহাদিগের দ্বারা আবিস্কৃত ও পরিজ্ঞাত হইয়াছে । ভাস্করাচার্য তাহার প্রমাণ স্থল ; fতনি স্নস্টাক্ষরে বলিয়। গিয়াছেন যে জ্যোতিৰ্ব্বিদ্যার সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভের এখনও অনেক বিলম্ব আছে । অতএব এই সমস্ত বিষয় আলোচনা করিলে ভারতবর্মের শ্রেষ্ঠত্বের কখনই তাপলাপ করা যায়ু না । .

ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ জ্যোতির্বিদ্যার ইতিবৃত্ত বিষয়ে যrছ। বর্ণনা করিয়। গিয়াছেন তাছার স্থলমৰ্ম্ম নিয়ে লেখা