পাতা:খণ্ড-প্রলয় - বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ খণ্ড-প্রলয় । আছে, এখনকার যজমান সব বেইমান হ’য়ে পড়েছেন। আধুনিক ইংরাজী শিক্ষায় তাদের মস্তিষ্ক এখন বিকৃত হ’য়ে গেছে ; গুরু পুরোহিতের প্রতি আর সেরূপ শ্রদ্ধা ভক্তি নাই ; এখন দা য় জানালে ব’লে থাকেন, জন্ম দেবে তুমি, আর টাকা দেব আমরা ! ভট্টা । তোমার মেয়েট নাকি ইংরাজী লেখাপড়। শিখেছে ? তর্ক। আজ্ঞে, সেই লেখাপড়াই আমার কাল হ’য়ে দাড়িয়েছে। এখন চলুন, বেলাটা অধিক হ’য়েছে, আর বিলম্ব কোরে কাজ নাই । I উভয়ের প্রস্থান । क्ला-- অষ্টম দৃশ্য। গঙ্গাবক্ষ । হুসজ্জিত অর্ণবযানোপরি তরুবালা, মাতঙ্গিনী, শৈলবাল, ভাগ্যধরী, শরৎকুমারী ও কে. রায়। সকলে । ( গীত ) অtয় আয় অায়, দেখরে ছেথায়, স্বাধীন পবন বইছে এখন । স্বাধীন লতা, স্বাধীন পাতা, স্বাধীন প্রাণে দুলছে কেমন ॥ প্রেমিক স্বজন সঙ্গে নিয়ে, প্রেমের-তরি যাইরে বেয়ে, নয়ন খুলি দেখরে চেয়ে, লাগবে তরি প্রেম-নিকেতন । অন্দরেতে বন্ধ থাকি, অন্ধ হ’য়ে ছিল পার্থী, ( এখন ) পিঞ্জরের দ্বার ভগ্ন দেখি, কুঞ্জে কুঞ্জে উড়ছি কজন,— স্বাধীন-বাতাস লাগছে গায়ে, থাকতে ঘরে সরেনা মন ॥