পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0kbም খতিয়ান করেই অনুপমার মুখে মেয়েলিপনার সঞ্চার দেখে মনটা তার বিরক্তিতে ggदू शां । শোভা বলে, ছিছি! ছেলেটার জন্যে এমন মায়া হচ্ছে ভাই! মায়া ? তার কি মায়া হয় নি ? ভুল করেছে বুঝার আগেই তো মায়া হয়েছিল তার, সেই তো থামিয়ে দিয়েছিল। সকলকে, নইলে আরও মারি খেয়ে মরে যেত না লোকটা ? এরা তাকে মায়া করতে শেখাচ্ছে ! মাধবী বলে, ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল তোর, যখন জানতে পারলি ও বেচারার কোন দোষ ছিল না । ক্ষমা ? ক্ষম। কি চাওয়া যেত ? উচিত হত। ক্ষমা চাওয়া ? আগেও সে ক্ষমা চাওয়ার কথা ভেবেছে, বাড়ী ফিরে আবার কথাটা মনে মনে নাড়াচাড়া করে। বন্ধুদের ব্যাপারটা বলে, ওদের সঙ্গে আলোচনা করে মনটা হাল্কা করার জন্য আপিসের কাপড় বদলেই অধীর আগ্ৰহে সে ছুটে গিয়েছিল ওদের কাছে । কিন্তু ওরা যেন আরও বিগড়ে দিয়েছে তার মনটা, তার ভুলটাকে তালগোল পাকিয়ে দাড় করিয়ে দিতে চেয়েছে মস্ত বড় অমার্জনীয় অপরাধে । ভুল সে করেছে বিশ্ৰী, অতি শোচনীয় হয়েছে তার ভুলটা, তা কি সে অস্বীকার করছে ? তবু ভুল তো ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়। ভুল যখন হয়ে গেছে, উপায় কি ! ওদের কাছে না গিয়ে সুধীর বা অশোকের সঙ্গে আলোচনা করলে ভাল হত• ওরা পুরুষ মানুষ, ব্যাপারটা ঠিক ভাবে নিতে পারত ওরা, এমন করে তাকে भिध डि नी । মাধবীর সখের চাকরী, অনু আর শোভা কিছুই করে না, দরকারও নেই। তার চাকরী প্ৰয়োজনের খাতিরে, বাপের আয়ে সংসার চলে না . ওরা তাকে মনে মনে অবজ্ঞা করে । মাধবীর চাকরী করায় আদর্শ,