পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊिन ዓ@: পৌছবার আগেই তা বিক্রী হয়ে গেছে চড়া দামে। তবে কাপড়খানার দাম সে পেয়েছে। আশাতীত। অদ্ভুতরকম বেড়ে গেছে কাপড়ের দাম, তিনকড়ি সা ঠিক দর দেয়নি তাকে, তবু একখানা কাপড় বেচে যে দেড় গুণ্ড টাকা লাভ থাকে। সে কি ভাবতে পেরেছিল কোনদিন ? আগেই সব টাস্ক স্বতো না কেনার জন্য আপশোষ করতে করতে সে বাড়ী फिद्रव् । পরের হাটেগেল শেষ কড়িটি আর শিবুকে সঙ্গে নিয়ে। যোগজীবন হাটে সুতো এনেছে কিছু কিন্তু তার দর অসম্ভব। সুতো মিলছে না, সামনের হাটে আরও চড়ে যাবে দর-হয়তো মিলবেই না। মিলবে না ? হতভম্ব হয়ে যায় কানাই আর শিবু । তারপর বাস্তব হল যা ছিল ভয়াৰ্ত্ত রাত্রের দাম আটকানো বীভৎস দুঃস্বপ্ন। এত দুঃখের জীবনেও স্বপ্ন ছিল কানাই-এর, পেট খিদেয় মোচড় দিতে থাকলে পান্তার মধুর গন্ধে জাগা স্বপ্ন, হৃদয় টন টন করতে থাকলে সঞ্চিত টাকার স্পর্শে জাগা আগামী কোন একদিন মাতিকে ঘরে আনার স্বপ্ন। সব স্বপ্ন গুড়ো হয়ে গেল কঁাচের মত মহাকালের বুট-পরা পায়ের চাপে, মৃত্যু ঘনিয়ে এল দুভিক্ষের রূপে চাষী তাতি কামার কুমার তেলি জেলের ঘরে। সব বেচে দিল অসহায় মানুষ বঁাচাবার চেষ্টায়, ঘটিবাটি হালবলদ ভিটে মাটি হাপর হাতুড়ি তাঁতমেয়ে বীে পৰ্যন্ত। তবু ঠেকানো গেল না মৃত্যুকে । গাঁয়ে গাঁয়ে মানুষ মরুল দলে দলে, বাঁচবার চেষ্টায় দলে দলে দিশেহারা মানুষ পালিয়ে (oţel şi Cz\ș l দাওয়ায় বসে বিমোয় কামাই। তাত না চালিয়ে বাত ধরে গেছে