পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tre খতিয়ান হয়। চোর এলে, চুরি চলতে থাকলে, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে ডেকে তুললে তার একটা মানে ছিল, চুরি যখন হয়েই গেছে, খবরটা দু’ঘণ্টা পরে তাকে জানালে কি আসত যেত কার । কেদার হাই তোলে, তার শীর্ণ মুখে এটে থাকে স্নায়বিক পেটের গোলমালের তেলচিটে ক্লেদাক্ত ছাপ, চোখে চেতন হারিয়ে গাঢ় তুর্শিতাতে তলিয়ে থাকার মর্যাটে কামনা । আমায় কেউ চুরি করে নিয়ে গেলে তুমি পাশ ফিরে শুয়ে ঘুমোবে, दtवा °क्षत्रिको दक्षाद्र cाश् । পেটটা ব্যথা করে উঠেছিল শোয়ার আগে, কত ডাকলাম, উঠেছিলে ? কেদার জবাব দেয় ঝাঝের সঙ্গে । ইতিমধ্যে সতীশ উঠেছে, রাজেন আর তার নতুন বৌও উঠেছে। চুরির বৈশিষ্ট্য বিচার করে সতীশ আর রাজেন চোরের জাত নির্ণয় করছে-হেঁচড়া চোর নিশ্চয় । সেটা যেন প্ৰত্যক্ষ নয়, মাথা ঘামিয়ে আবিষ্কার করা দরকার ছিল। দুগগা চেচিয়ে চলেছে, একি কাও মে বাবা, আঁ ! নতুন বেী থেকে থেকে আহলাদা ভয়ের সুরে আবৃত্তি করছে, চোর এসেছিল, মাগো ! কেদার নেমে এলে সে ঘোমটা একটু টেনে দেয়, গলা নামিয়ে নেয় ফিসফিসানিতে, অবশ্য তা কাণে যায় সকলেরই। সবাই উঠেছে, শুধু দেখা নেই বিশ্বম্ভর ঠাকুরের। ঘুপচি ঘরের মধ্যে সে ঘুমিয়েই চলেছে নিশ্চিন্ত মনে, ঠিক কেদারের মত মাক ডাকিয়ে মৃদু সরু সুরে । রোজ সকালে তাকে ডেকে তুলতে হয় এমনি সে নবাব, কিন্তু সেটা পঙ্কজিনী মেমে নিয়েছে, নিরুপায় হয়ে, বাধ্য হয়ে । কিছু বলতে গেলেই ঠাকুর চাকরি আবার গট গট করে বেরিয়ে যায়, ষা