বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাদে ডাকাতি NV বাড়ীতে রাখা মোটেই নিরাপদ ছিল না, তাও নিজের টাকা হ’লে, তেমন কিছু হ’ত না ; টাকা কোম্পানীর । হারালে বা চুরি গেলে, কোন কৈফিয়ৎ শুনবে না ; একেবারে হাতকড়ি । একদিকে চুরি যাবার ভয়, অপরদিকে সাহেবের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছি, দোটনায় পড়ে গেলাম । শেষ পর্য্যন্ত টাকার থলেটি হাত পেতে সাহেবের কাছ থেকে নিতেই হ’ল ; এবং বণ্ডেও সই করে দিলাম। বাড়ী ফিরে তোদের ঠাকুরমার কাছে, সমস্ত ঘটনাটা বললাম ; এমন কি টাকাগুলি গচ্ছিত রাখার জন্য, একদিনে পঞ্চাশটাকা মাইনে বেড়ে গেল, এ স্থখবরটাও দিতে ভুললাম না । তোদের ঠাকুরমা ত মাইনে বাড়ার কথা শুনেই উল্লসিত হয়ে উঠলেন ; টাকা চুরির ভয় র্তার মনেও স্থান পেল না । ...দিনকুড়ি কাটলো নিরাপদেই। প্রতিদিনের কয়লাবিক্রীর টাকা আমার কাছে জমে, টাকার থলি ক্রমশঃ ভারি হয়ে উঠে । এমনিভাবে শেযমাসে আমার কাছে জমল, বার হাজার টাকা । কুলীমজুরদের মাইনে প্রতিমাসে আমাকেই বিলি করতে হ’তো । এবারও পূর্বের্বর মতই সাহেব আমাকে ডেকে ব’ললে —বাবু! তোমার কাছে প্রতিদিন–বিক্রীর হিসেবে কতটাক জমেছে ? হিসেবের খাতাটা সাহেবের চোখের সামনে মেলে ধ’রে ব’ললাম—বার হাজার টাকা, হুজুর ।