খাদে ডাকাতি (የ টিকবে না। অগত্য চিন্তান্বিত ভাবেই কোয়ার্টারে ফিরলাম । এতদিন টাকা রেখেছিলাম, গোপনে। পরদিন যখন সকলে জানবে, ক'লকাতায় টাকা আনতে লোক যায়নি , টাকা বেরুচ্ছে, ক্যাসিয়ার বাবুর বাড়ীর থেকে ; রাত্রির মধ্যে সমস্ত বাড়ী চড়াও ক’রে লুট করে নিতে কতক্ষণ ? পরদিন, যথাসময়ে টাকার থলেটি হাতে নিয়ে আফিসে যাচ্ছি ; পথে মুখোমুখী কুলী-সর্দার মংরুর সাথে দেখা । মংরু তা’র স্বভাবসুলভ হাসি হেসে ব’ললে—ক্যাসারবাবু! হামদের মাইন। আজ দিবি নাই ? থলিটির পানে তার লোলুপ-দৃষ্টি। অকারণেই বুকটা কেঁপে উঠল। তবুও চেপে ব’ললাম—দোব বৈ কি, মাইনে দোব না আবার | পরে সে যা উত্তর দিল, তার ভাবার্থ এই যে, কলকাতায় লোক না যাওয়াতে তা’র ভেবেছিল, হয়ত মাইনে দেওয়া আজ হবেন । কিন্তু, ক্যাসিয়ারবাবুর বাড়ীতে মাইনের টাকা রাখা আছে দেখে তারা খুসি হ’য়েছে। কাউণ্টারের ভেতর বসে, প্রত্যেকের মাইনের টাকা পৃথক পৃথক ভাবে সাজিয়ে রাখলাম। তারপর মাইনে নেওয়ার ঘণ্টা বাজলে । মাহিনী-প্রত্যাশী কুলীমজুরের কলরোলে মুখরিত হ’য়ে উঠলো কাউণ্টারের চারিদিক । মাইনের টাকা বাদ, অামার পাশের থলিতে, তখনও পাচহাজার টাকা । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অভিমনু্যকে যেমন সপ্তরর্থীতে ঘিরে বধ করেছিল, আমার অবস্থাও তখন তাই। চারিদিকে কুলীমজুরের মাইনে নেবার
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১৩
অবয়ব