খাদে ডাকাতি - বাড়ীতে পৌঁছে ভুলবশতঃ সঙ্গের প্রহরীগুলোর মুখের উপরই দরজাটা বন্ধ করে দিলাম। তারপর ভেতর থেকেই বলে দিলাম তারা এখন যেতে পারে। তাদের পায়ের জুতোর শব্দ দূর হ’তে দূরান্তরে মিলিয়ে গেল। তোদের ঠাকুরমার হাতে থলেটি দিয়ে খেয়ে দেয়ে দরজায় খিল এটে শুয়ে পড়লাম । তোদের বাবা, কাকা তখন ছেলেমানুষ ; তারা তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। সারাদিনের পরিশ্রমের পর আমার ও তন্দ্র। এসেছিল । ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ন তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলাম, ঠিক বলতে পারি না। হঠাৎ খটু খট্ আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। চোখদুটি রগড়ে নিয়ে ভাল করে কান খাড় করলাম। হ্যা সত্যিই আমি জেগে উঠেছি, এবং বাইরের দরজায় কে কড়া নাড়ছে। তোদের ঠাকুরমারও সে শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছিল। দুজনে দুজনের মুখের পানে তাকিয়ে ভয়ে কঁপিছি ; গায়ের লোমগুলো খাড়া হ’য়ে উঠেছে। ধৰ্ম্মভীরু লোক আমি, বিপদে পড়লে ভগবানকেই ডাকি ; সেইজন্যে ইষ্টনাম জপ করতে লাগলাম--বিপদ-তারণ মধুসূদন । রক্ষা কর। ততক্ষণে ধুপ ধুপ, ক’রে দুটো শব্দ হ’ল ; ঠিক বুঝলাম, কলিয়ারীর কোয়াটারের ছোট প্রাচীর ডিঙোতে চোরের বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। তারপরেই বাইরের দরজায় খিল খোলার শবদ ও অনেকগুলি পায়ের আওয়াজ । সে শবদ ক্রমশঃ আমাদের শোবার ঘরের দরজায় এসে থামল ও দরজার কড়া নড়ে উঠতে লাগল জোরে জোরে ; সেইসঙ্গে গুরুগম্ভীর স্বরে বাইরে থেকে
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১৫
অবয়ব