খাদে ডাকাতি تسوااً কে বলে উঠলো—দরজা খোল ; দরজা খোল শীগগির, না হ’লে দরজা ভাঙব । কড়া নাড়ার চোটেই একটি-ইটের-গাথনি পাকা ঘরের ভিত্তি পর্য্যন্ত কেঁপে উঠতে লাগল। দরজার খিলটাও ক্রমশ: ঢিলা হয়ে আসছে। চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছি । কিন্তু তখন শরীরে এমন শক্তি নাই যে, দু’প গিয়ে দরজা খুলে দিই, অথবা চীৎকার করি। অতিকষ্টে দুটি কথা মুখ দিয়ে বেরুল —খুলছি বাবা । দরজার দিকে এগিয়ে গিয়ে একমুহূৰ্ত্ত ভেবে নিয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুর সামনে দরজা খুলে দিলাম। কারণ, ভাবলাম দরজা যদি নিজের থেকে খুলি, তবে হয়ত ডাকাতের প্রাণে নাও মারতে পারে। কিন্তু যদি কষ্ট ক’রে তাদের দরজা ভাঙতে হয়, তবে তার প্রতিশোধ, ওরা আমাদের প্রাণের ওপরই নেবে। দরজা খুলেই দেখলাম দরজার বাইরে ক'জন জোয়ান লোক দাড়িয়ে ; হাতে তাদের বড় বড় ধারাল টাঙি, অন্ধকারের মধ্যেও জ্বল জ্বল করে উঠছে। সমস্ত ঘরখানাকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি দিয়ে একবার পরীক্ষা করে নিয়ে সামনের লোকটা আমায় ব’ললে—টাকা কোথায় ? সতীসাধ্বী স্ত্রীলোক ছিলেন, তোদের ঠাকুরমা । আমার জীবন বিপন্ন দেখে, নিজের প্রাণের এতটুকু মায়া না করে, সামনে এগিয়ে এসে ব’ললেন—কিসের টাকা বাবা ? লোকটা ব’ললে—চালাকি রাখ ; টাকা দাও ; নইলে এই দেখছ ত। হাতের টাঙ্গিট। শূন্যে একবার আন্দোলিত হ’ল ।
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১৬
অবয়ব