Şe খাদে ডাকাত্তি তখনকার মনের অবস্থা বলে বোঝান অসম্ভব। সমস্ত শরীরট। ঘামে ভিজে উঠছে আর থর থর করে কাপছে। তখন ভাবছিলাম টাকা যাক, জেল খাটব। তবু যদি এতগুলি প্রাণীর প্রাণ বঁাচে । কয়েকটা মুহূৰ্ত্ত আমার এমনিভাবেই দাড়িয়ে কেটে গেল । তোদের ঠাকুরমা যে তখন ওঘরে কি করছেন, বেঁচে আছেন, না ডাকাতের হাতে প্রাণ দিয়েছেন, তাও জানিনা । হঠাৎ তোদের ঠাকুরমা ছুটে এসে ব’ললেন—ওগো এসো, ধরেছি। অবাক হ’য়ে জিজ্ঞেস করলাম—কি ধরেছ ? —চোর ধরেছি গো ! সব ক’টাকে বন্দী করেছি, ঘরের মধ্যে শেকল দিয়ে। তুমি এবার যত পার চীৎকার কর । আমার শরীরে তখন বল ফিরে এসেছে ; কণ্ঠে ভাষা ফিরে পেয়েছি । খুব জোরে চীৎকার সুরু করলাম—চোর—চো—র । পাশেই ছিল সাহেবদের আর বাবুদের কোয়ার্টার ; তারা চীৎকার শুনে ছুটে এলেন। সাহেব বাইরে থেকে বন্দুকে ক’টা ফাক আওয়াজ করলেন । এবং আমার কাছে এসে গৰ্ব্ব প্রকাশ ক’রে বলতে লাগলেন—বাবু! ডাকু বাগ গিয়া, by the blast of the gunpowder. হেসে ব’ললাম—অল কনফাইণ্ড ; গিন্নী do sir. সাহেব এবং অন্যান্য সকলেই ব্যাপারট। বুঝে আশ্চৰ্য্যান্বিত হ’লেন । থানায় খবর দেওয়া হ’ল ; অনেক পুলিশ সঙ্গে নিয়ে,
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১৮
অবয়ব