বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাদে ভাকাতি >> এল হরেন দারোগা । তোদের ঠাকুরমার জবানবন্দীতে জানতে পারা গেল, তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে প্রথমে ডাকাতর। আয়রনচেস্টা খুলতে গেল। তিনি তখন বাইরে বারান্দায় দাড়িয়ে ; এবং ডাকাতদের দু’জন দরজায় কড়া পাহাড়া দিচ্ছে । অনেকদিন অব্যবহৃত থাকায় সেটা এমন এ টে গিয়েছিল যে, তিনজন মিলেও সেটাকে খুলতে পারছিল না। তখন অবশিষ্ট দু’জনও ভেতরে গেল। গিন্নী সেই মুহুর্তে সাহসে ভর করে এগিয়ে গিয়ে দরজায় শেকল টেনে ডাকাতদের ঘরের মধ্যে বন্দী করে ফেলেছিলেন । দরজা খোলা হ’লে দেখা গেল, ডাকাতদের সর্দার হ’য়ে এসেছে, কুলসর্দার মংরু। সাহেবদের, বাবুদের ও আমার কণ্ঠ থেকে একসাথে তীব্ৰধ্বনি বেরুলে—মংরু ! হরেন দারোগা কিন্তু অন্য মুর গাইলো । তার চোখতুটো হ’য়ে উঠল উজ্জল। ডাকাতদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দিতে দিতে সে সাহেবের দিকে চেয়ে যা’ ব’লল, তার ভাবার্থ এই— এই ডাকাত সর্দারের খোজেই পুলিস এতদিন ঘুরছিল। এ হ’চ্ছে এই তল্লাটের একজন নামজাদা ডাকাত, চরণ সিং । সে নানা জায়গায় নানা বেশভূষা ধীরে পুলিসের চোখে ধূলো দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। বহুদিন পরে আজ এক বীর রমণীর উপস্থিতবুদ্ধির জন্য পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। সাহেব আমাকে পুরস্কার দিতে চাইলেন এবং আমাকে গোপনে ডেকে