মিষ্ট, আর আমি Ֆ(ի ক’রলে দেখতে পাবে, জগতটা হুবহু বদলে গেছে। এ যেন সে পৃথিবী নয়, আর একটা পৃথিবী ; কৃষ্টির দিক্ দিয়ে, সভ্যতার দিক দিয়ে, মানুষের জীবন-যাত্রার ধারার দিক্ দিয়ে, তা’র সঙ্গে এই পৃথিবীর,—অতীতের সঙ্গে বর্তমানের কোনো সামঞ্জস্য নেই। —বড্ড কঠিন হ’য়ে যাচ্ছে মামা, ঠিক বুঝতে পারছি না । মিণ্ট আমাকে সজাগ করে দেয়। একে বৈজ্ঞানিক নই ; তা’তে বিজ্ঞানের জটিল কথাগুলো একটি ছোট বালিকাকে সহজ করে, সরস ক’রে বোঝাতে হবে । তাই একটু চিন্তা ক’রে নিলাম –তুমি রেলগাড়ীর ইঞ্জিন দেখেছে। ত’ বুড়ীমা ! কলহাস্তে নিস্তব্ধ প্রকৃতিকে মুখরিত করে মিন্ট, ব’লল—ও হরি, ত’ দেখিনি আবার ; কত্তোবার দেখেছি! —ত ত’ দেখেছ ; কিন্তু জানো এটা কিসে চলে ? —কেন, কয়লায় ; কালো কালো ধোয় ওঠে, দেখিনি আবার ! —শুধু কয়লা ?..পারলে না বুড়ীমা ; কয়লা শুধু সাহায্য ক’রছে। ইঞ্জিনটাকে চালাচ্ছে বাষ্প । জল যখন উনুনের ওপর ফোটে, তা’র থেকে যে ধোয়ার মত জলকণাগুলি ওপরে উঠে যায় তারই নাম বাপ । —অতবড় একটা রেলগাড়ী শুধু জলের-ধোয়া (বাস্প) দিয়ে চলছে ? অবিশ্বাসের স্বরে মিন্ট বলে ! —হ্যা ; তোমার বিশ্বেস হচ্ছে না ? আচ্ছা, যখন জ্বলন্ত উনুনের ওপর চায়ের জল গরম হয়, তখন জল ফুটতে আরম্ভ
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/২৩
অবয়ব