খাদে ভাকাতি وی اند করলে, কেটলির ওপরকার লোহ বা এলুমিনিয়ামের ভারী ঢাকনা, কেমনভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠতে থাকে দেখেছ ? ঐত সামান্ত বাষ্প, তাতে যখন কেটলীর ঢাকনাটাকে আমন করে নাচিয়ে তোলে ; তখন বিরাট একটি জলপাত্রের মুখ, যদি কয়লার অত্যধিক উত্তপ্ত আচে, বাষ্প বেরুবার পথ না রেখে বন্ধ ক’রে দেওয়া যায় আর সেই ঢাকনাটার সঙ্গে ইঞ্জিনের চাকার যদি একট। লোহার কিছু দিয়ে যোগাযোগ রাখা যায়, তবে একটা গাড়ীকে টেনে নিয়ে যাওয়া কী ইঞ্জিনের পক্ষে কঠিন হয় ! —না ; এতক্ষণে মিণ্ট র কিছু বিশ্বাস হয় –কিন্তু , মিণ্ট, প্রতিবাদ করে। ওটা যে কয়লার ধোয়া নয়, জলেরই বাপ, তারই বা ঠিক কি ? কৌতুকের হাসি হেসে জবাব দিলাম—তা’ও বুঝলে না ! আচ্ছ এক কাজ কর ; কেটলীতে জল গরম হচ্ছে, ঢাকনাটা খুলে দাও ; যে ধোয়াটা উড়ে যাচ্ছে, তার উপর একখান প্লেন কাচ ধর ; দেখবে প্রথমে কাঁচটা কুয়াসাচ্ছন্ন হয়ে উঠবে এবং অল্প পরেই তা’রথেকে ফোটা ফোট জল গড়িয়ে পড়তে থাকবে । এতেই প্রমাণ হয় না কি, জল থেকেই বাম্পের সৃষ্টি এবং বাম্পটাকে ধরে আবার সেই জলে ফিরিয়ে আনা যায় ? জর্জ ষ্টিফেনশন নামে এক ইউরোপীয় বালক তা’র বাবার সঙ্গে কোথাও যেতে যেতে পথে এক জায়গায় চা'এর জল চড়ান। বালক তাকিয়ে তাকিয়ে একমনে জল গরম হওয়া দেখছিল ;
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/২৪
অবয়ব