পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিণ্ট, আর ওমামি ›ማ জল যখন কেটলির ভেতরে ফুটে উঠল, তখন তার বাম্পের ঠেলায় কেটলির ঢাকনাটা ওঠা নামা করতে লাগল। এই সামান্য ব্যাপার দেখেই মেধাবী বালক ষ্টিফেনশন বুঝতে পারলেন, এই বাষ্পকেই আরও উন্নত প্রণালীতে উত্তপ্ত ক’রে চেপে রাখতে পারলে অনেক বড় কাজ এর দ্বারা হওয়া সম্ভব । সেই নিয়ে তিনি পরে গভীর গবেষণা করেছিলেন ; তার গবেষণা থেকেই বৰ্ত্তমান ইঞ্জিনের স্মৃষ্টি । সেদিনকার মত ঐ পর্য্যন্ত বলেই বিশ্রামের জন্য উঠে পড়লাম । ছেলেমানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই । গত রাত্রের ইঞ্জিন বিষয়ক কাহিনীর অল্পই হয়ত তার মাথায় ঢুকেছিল হয়ত বা নীরসও ঠেকেছিল, তাই আজ যখন দিবানিদ্রার আরাধনার চেষ্টা করছিলাম, তখন মিণ্ট এসে ধীরে বসল—আজ রাজপুত্তরের একটা গল্প বল না মামা ! তাকে প্রত্যাখান করতে পারলাম না ; তবে মনে মনে ফন্দী এটে ফেললাম, রাজপুত্তরের গল্পের ভেতর দিয়েই একটা বিজ্ঞানের তথ্য বোঝাতে চেষ্টা করব । —আচ্ছা শোন ; একদিন এক রূপকথার রাজপুত্তর পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে স্বপনপুরীর রাজকন্যার সন্ধানে বেরিয়ে পড়লেন । মিণ্ট উৎসাহিত হয়ে উঠল ; তা’র চোখদু’টি আনন্দে হয়ে উঠল উজ্জল ।--দিন যায়, রাত আসে, আবার রাত ফুরুলে দিন २