মিন্ট, আর আমি SS —না না । রাক্ষস নয়, একটা বুড়ে থাকতো সেই কুঁড়েঘরে । সে রাজপুত্তরকে দেখে সসন্ত্রমে আশ্রয় দিলে এবং আহারের জন্য ফলমূল জোগাড় করে আনল। রাজপুত্তর তাই খেয়ে সারাদিনের পরিশ্রমের ক্লান্তিতে গভীর নিদ্রায় মগ্ন হলেন । সকাল বেলায় রাজপুত্তরকে জাগাতে এসে বুড়োটি দেখল রাজপুত্তরের শরীর নীলবর্ণ হয়ে গেছে ; মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়েছে ; তিনি মরে গেছেন। —মরে গেছেন ! কেউ মেরে ফেলেছে নিশ্চয় । মণিমুক্তার লোভে কোনও চোরডাকাত কিম্বা কোনও রাক্ষস ? —তোমার তাই মনে হবে ; কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই তা’ নয়। তখন ছিল শীতকাল। বুড়োলোকটি রাজপুত্ত্বরকে যে ঘরে শুতে দিল, সেই ঘরকে গরম রাখবার জন্য জেলে রেখেছিল একটা খোলা উনুন ; তার ওপর রাজপুত্তরের সম্মানের জন্য ঘরটি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়েছিল। একে ছোট ঘর হাওয়া বাতাস ঢোকবার বেরোবার পথ নেই, তারপর জলন্ত উনুন আর আলো ইত্যাদি থেকে একরকম বিষাক্ত গ্যাস বেরোয় ; ( বিজ্ঞান সে গ্যাসের নাম দিয়েছে কারবন মনোক্সাইড, ) সেই গ্যাস ( gas ) রাজপুত্তর নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করেছে, তাতেই হয়েছে রাজপুত্তরের মৃত্যু। –কিন্তু স্বপনপুরীর রাজকন্যার কি হ’ল তা’ত ব’ললে না ? —হ্যা; তিনি তখন রাজপুত্তরের সোনারকাঠির স্পর্শের (Oxygen ) এর অভাবে দিনের পর দিন ঘুমিয়ে চললেন ;
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/২৭
অবয়ব