পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিকারীর প্রাণ ২৩ সাহেব হেসে ব’লল—বাবু! আমি সেজন্তে বলছি না। পৃথিবীতে আমার নিজের ব’লতে কেউ নেই ; সেইজন্যেই প্রাণের বিযয়ে আমি বেপরোয়া ; কিন্তু তোমার ছেলে-মেয়েরা তোমার মুখের পানেই চেয়ে আছে। টমসনের স্নেহমাখ। কথাগুলো শুনে তার দৃঢ় বলিষ্ঠ বুকখানার পানে তাকালাম এই দেখতে যে, শিকারীর পাথুরে বুকটার কোনখানে এমন একটা কোমল প্রাণ অাছে। টমসন কথা ব’লল -বাৰু! তাহলে আজকের মত কাজ বন্ধ করতে হুকুম দাও । কুলীর লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আমাদের সঙ্গে চলুক। তারা বাঘকে তাড়িয়ে আনবে, আর আমরা দুজনে গুলী করবো। আর দেরী নয়, শীগগির চলো, সন্ধ্যে প্রায় হ’য়ে এল । কুলীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ; দুজনের হাতে দুটো বন্দুক । গুলী রাখবার বেল্টে ভৰ্ত্তি টোট। আমরা দুজনে চলেছি, সামনে ; আর কুলীর লাঠি, টাঙ্গি ইত্যাদি নিয়ে পিছনে হল্লা করতে করতে চলেছে । সন্ধ্যে হ’তে আর দেরী নেই ; সূৰ্য্য ডুবে গেছে। অন্ধকারও ঘনিয়ে আসছে ধীরে ধীরে। কুলীদের কাছ থেকে আমার ইলেকটিক-টর্চটা চেয়ে পকেটে নিলাম। সামনেই জঙ্গল। সেখান থেকেই জমিট ক্রমশঃ উচু হয়েছে। পাশেই পাহাড়। এখানেও ধানের জমি। ধানের সময় নয় ; শূন্য ক্ষেত। একট। আল থেকে আর একটা আলে লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছি। হঠাৎ