শিকারীর প্রাণ ՀԳ দিয়ে গৰ্ত্তটাকে ঢেকে দিলে এবং ওপরে রেখে দিল একটা মরা F5 | তখন আমাদের মনের তাবস্থা সাংঘাতিক । সারারাত ঐ ভাবে কেটে গেল। সকালে এসে পৌছল, তিনজন শিকারী । সেই সঙ্গে আর ও খাবার, তার ও জল । মনে সাহস হ’ল । সারাদিন হল্লা করে আর বাঘের পায়ের দাগ দেখে কাটল । সন্ধ্যে হ’তেই আমি উঠলাম মাচায় ; তিনজন শিকারী তিনপাশের তিনটে গাছে উঠলেন । আর কুলীরা অস্ত্রশস্থ নিয়ে কোনদিকে লুকিয়ে থাকল জানি না । রাত্রির অন্ধকারে এমনি ভাবে চুপচাপ বসে বাঘের আগমন প্রতীক্ষা করতে লাগলাম। আজ রাত্রে বাঘ আসবে-না নাকি ? এমনি কত কথা ভাবছিলাম। হাত-ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম, রাত একটা । চোখ দুটো ঘুমে জড়িয়ে আসছিল, ঠিক এমনি সময় নিস্তর প্রকৃতিকে চকিত করে বন কঁাপিয়ে একটা গর্জন শোনা গেল। কিছুদূর থেকে শিকারীরা সকলে আস্তে আস্তে ব’ললে—Roady—বন্দুক বাগিয়ে বসলাম। ঘড়ি দেখছি, পাচ মিনিট, দশ মিনিট, পনের মিনিট, কিন্তু বাঘ আর অাসে না । টের পেয়েছিল নাকি সেই জানে ! চোখগুলো আবার ঝিমিয়ে আসছিল। ঠিক এমনি সময় নিকটে আবার গর্জন শুনতে পেলাম । মনে মনে ভাবলাম—শয়তান ! আজি তোমার শেষ ! টমসন
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৩৫
অবয়ব