পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদ্যার মুখে ব্ৰতী বালক 86. কৰ্ত্তব্যের বাধাধরা গণ্ডীও কোন ও কারণে ছেড়ে যেতে হয়। এদের দেরী হওয়ার কারণ ও ছিল ; গ্রামের সমস্ত কাজ গুছিয়ে যখন তারা রওনা হল, সে সময়ে রওনা হয়ে ট্রেন ধরা কঠিন । কিন্তু সে ট্রেনে না গিয়েও উপায় নেই ; কাল যদি এরা শহর থেকে কিছু অন্নবস্ত্র সংগ্রহ করে আনতে না পারে, তবে গ্রামবাসীদের উপেস দিতে হবে। তারা যখন ষ্টেশনে পৌছল তখন হুইস্ল পড়ে গেছে ট্রেন চলতে সুরু করেছে, প্লাটফর্ম ছেড়ে যায় যায় ; এমন সময় এরা ছুটতে ছুটতে এক এক করে চলন্ত ট্রেনেই উঠতে সুরু করলে ; কিন্তু সুরেশের পায়ে ছিল, রবারদেওয়া কেডসের জুতো ; বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া ট্রেনের-পা-দানিতে পা গেল সুিপ ক’রে ; এবং মিনিটখানেক হাতলট ধরে আত্মরক্ষা করবার চেষ্টা করতে করতে হাত ফসকে সে ছিটকে গিয়ে পড়লো বাইরে লাইনের ধারে পাথরের উপর। মুহূৰ্ত্তেই কামরার মধ্যে জ্যোতিষ ‘অ্যালার্ম সিগন্যাল ধরে ঝুলে পড়ল। ট্রেন থেমে গেল কিছুদূর অগিয়ে। এর নেমে এল মুরেশের কাছে । পাথরের আঘাতে তা’র শরীর ক্ষত বিক্ষত হ’য়ে গেছে, মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে। তুলে এনে এরা তাকে ট্রেনে চাপালে ; ক’রলে প্রাথমিক চিকিৎসা । তারপর হাসপাতালে ভৰ্ত্তি করে দিয়ে গ্রামে ফিরে এল, প্রচুর খাবার বস্ত্র ইত্যাদি নিয়ে। এরপর নানা জায়গা থেকে এসে পড়লে কত “রিলিফওয়ার্কাস” দল ; তা’র ছোট ছোট ছেলেগুলিকে অনাবশ্যক মনে করে, সমস্ত কাজই নিয়ে নিল