বিভীষিক ©Ꮌ মুহুর্তে পকেটে হাত ঢুকিয়ে ছুরি খোজে, গরুর দড়ি কাটতে, কিন্তু নেই। বাইরে তখন লোকেরা চীৎকার মুরু করেছে,—মশাই । বেরিয়ে আস্থন, আগুনে পুড়ে মারা যাবেন মশাই। সবই কাণে আসে রবীনের। কিন্তু এতদূর এসে ফিরে যাবে সে ! এখনো ফিরবার পথ আছে। তবু শেষ চেষ্টা : সে সজোরে গরুর খুটে৷ তুটোকে উপড়ে ফেলে। গরু, বাছুরটা ছুটে বেরিয়ে যায় বাইরে ; কিন্তু ধোয়। আর আগুনের ঝলকে চোখ ধাধিয়ে যায় রবীনের ; হারিয়ে ফেলে তার বেরোবার পথ। অগত্যা লাঠি দিয়ে আঘাত করে আর এক পাশের দেওয়ালে ; ভেঙ্গে পড়ে খানিকটা অংশ ; সেখান দিয়ে রবীন বাইরে বেরিয়ে পড়ে। গায়ের লোকেরা তার একবার উৎসাহে চীৎকার করে ওঠে—‘সাবাস সাহস ভাই ! তুমিই মায়ের দুধ খেয়েছিলে । তাদের চেষ্টা ও পরিশ্রমে আগুন নিবে যায় ; আবার অন্ধকার পথ দিয়ে তারা ঘরের পানে ফিরে যেতে থাকে। চারিদিকে ঘন অন্ধকার । আগুনের অালো থেকে আঁধারে এসে, সে অাধার আরও কালে মনে হয়। সে অন্ধকারে খুব সাহসী লোকেরও গা ছম ছম করে। তার ওপর গ্রামের মেটে পথ ; দুপাশে ঝোপঝাড়, এদোপুকুর, বাশবন আর আম কঁঠালের বাগান। মাঝে মাঝে ছ? একটা ভাঙ্গা মন্দির ; পোড়ো বাড়ি ; চুণবালি খস, শুধু ইটগুলোতে ভর করেই যেন দাড়িয়ে আছে। তারা হেঁটে চলেছে ত' চলেইছে ; পথের যেন আর শেষ নেই ।
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৫৯
অবয়ব