৫২ খাদে ডাকাতি শিশির বলে—‘বড্ড ক্লান্ত, ঐ পোড়ো বাড়ীটায় একটু বিশ্রাম নেওয়া যাক ; সকালে বাড়ী ফেরা যাবে। সকলেরই তখন অবসাদ এসেছে ; বিশ্রাম গ্রহণে কারও আপত্তি দেখা গেল না তাই । বাড়ীটা কতদিনকার পুরাণো কে জানে। তবে বেশ বড় । চারিদিকে আবর্জন : ঘরের মধ্যেও ধূলো জমে আছে খুবই । সামনের বড় হলঘরটায় বিছানা নেয় তারা । ঘরের ভেতরের অন্ধকার, বাইরের থেকে আরও জমাট বাধা । রাত্রির নিস্তব্ধতার মাঝেও সমস্ত বাড়ীটায় কেমন একটা অস্বাভাবিক দুপ দাপ, গো, গো শব্দ শোনা যায়। ছ’চারটা বাদুড়ও হয়ত হলঘরটায় ঝটুপটু করে উড়ে বেড়ায়। হঠাৎ বাইরে একটা ঝড় ওঠে শো শে। শব্দে ; ঘরের দরজাজানালাগুলো ঝন ঝন শব্দে খুলে আবার বন্ধ হ’য়ে যায়। বাতাস ঘরে এসে ঢোকে, তাতে একটা পচা তুর্গন্ধ । সবার ছোট কাননকুমার ; সে হঠাৎ ছুটে এসে ভয়চকিত কণ্ঠে নীতীশকে বলে—জানলায় কী যেন—আর কিছু বলতে পারে না । সবাই তাৎকে উঠে সেদিকে তাকায় ; খোলা জানালার বাইরে দুটে। বড় বড় ভাটার মত জলন্ত চোখে যেন আগুন বেরিয়ে আসছে। অন্ধকারের মাঝেও চোখে পড়ে, শাণিত ইস্পাতের মত বড় বড় দু'পাটি দাত । গায়ে চকচকে কালো লোমগুলো আধারের মাঝে বেশ স্পষ্ট ভাবেই দেখা যায়। কারও মুখে কথা
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৬০
অবয়ব