খাদে ডাকাতি وانا) সুবিধে ক’রতে না পেরে, মুসলমানপ্রধান গ্রামের অধিবাসীরা স্বগ্রামের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার সুরু করে। আবার হিন্দুরাও নিজেদের গ্রামে অনুরূপ সুযোগ নিতে ছাড়ে না। পানীয় জলের পুকুরে মুসলমানের মাছ ধরবার জন্য পচা ‘চার’ ফেলে ; তাই দেখে ওদের দেখিয়ে দেখিয়ে ওপারের হিন্দুরা জলে ময়লা নোঙর কাপড় কাচে । দু’দলেরই উদ্দেশ্য, ওদের স্বাস্থ্যনষ্ট ক’রে হীনবল ক’রে ওদের মেরে ফেলবো? কিন্তু ফল দাড়ায় অন্যরকম। দু’টি গ্রামের মধ্যে পানীয় জলের ওই একটি মাত্র পুকুর। তার জল দূষিত হওয়ার ফলে দু’টি গ্রামের অধিবাসীদেরই স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। গ্রামবাসীরা ভাবে..."এ তো বড় তাজ্জব ব্যাপার । হিন্দুরা ভাবে, এ বাবা ভোলানাথের মাহাত্ম্য, পরের মন্দ ক’রতে এসেছিলে, এবার নিজেরা ভোগো !’ আর ওদিকে মুসলমানেরা ভাবে...হিন্দুর স্বাস্থ্যনষ্ট হওয়া খোদাতালার দোয়া ছাড়া আর কিছুই নয় ? দু’তিন পুরুষ ধ'রে এই ভাবে চলে আসছে। তাদের এরকম দলাদলির কারণ জিজ্ঞেস ক’রলে কেউই সঠিক জবাব দিতে পারে না ; শুধু মুখের দিকে ফ্যালফ্যাল ক’রে তাকিয়ে থাকে ; তারপর আমত। অামত ক’রে জবাব দেয় । তাদের বাপ-পিতামহরা তাদের এই লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত ক’রে গেছে ; তাই তা’রা ও ক’রছে। কেন যে ক’রছে, তা’ ত তারা বলতে পারবে না ! এই যে বিনা কারণে দলাদলি, লড়াই, ধৰ্ম্মের
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৬৪
অবয়ব