শেষ সমাধান (ነጭ গোড়ামি,—এসবের কথা ভাবতে গেলে হাসিও পায়, দুঃখও হয় । মহিম ছেলেবেলা থেকে দু’টি গ্রামের এই ভাব দেখে আসছে। কোনদিন হঠাৎ ঘরে আগুন জ্বলে উঠবে সেই ভয়ে সে সন্ত্রস্ত থাকে দিন রাত। এখন সে উচ্চশিক্ষিত তরুণ বয়সী। সে ভাবে, ‘এভাবে লড়াই করবার অর্থ কি ? ভারতবর্ষেরই দু’টি বিভিন্ন জাতি মানুষের অঙ্গের দু’টো হাতের মতই এদের সম্বন্ধ । দু’টির মধ্যে একটিকেও বাদ দিলে চ’লবে না ; ছ’টিরই সমান দরকার। অথচ একে অপরকে শেষ করবার জন্য এরা উঠে পড়ে লেগে গেছে। ফলে ভারতবর্ষ হীনবল হয়ে পড়েছে দিন দিন ; হয়ত একদিন সোণার ভারত পক্ষাঘাতগ্রস্তের মত বিকলাঙ্গ হয়ে পড়বে। এইসব নানা কথা ভেবে মহিম একদিন সকালে মুসলমান প্রধান গ্রামের দিকে পা চালিয়ে দিল । বিংশবযায় বলিষ্ঠ তরুণ...প্রশস্ত তার বক্ষ...উন্নত শরীর... চোখের মাঝে প্রতিভার দীপ্তি। প্রথমেই সে গিয়ে উপস্থিত হ’লে গ্রামের শিক্ষায়তনে অর্থাৎ পাঠশালায়—যেখানে গড়ে উঠছে, দেশের ভবিষ্যং জাতি ; শিক্ষা ও সংস্কারের সিড়ি তৈরী ক’রে যেখান থেকে শিশুদের চলা মুরু হ’চ্ছে। মহিম প্রথমেই গিয়ে মৌলভী সাহেবকে ক’রলে কুনশি। তিনি মুগ্ধ ও প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন মহিমের দিকে। বাঙলা দেশের মুসলমান, বাঙলা-ভাষাই তা’র মাতৃভাষা ; বাঙলার গানই তা’র নিজস্ব
পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৬৫
অবয়ব