বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সমাধান y (S মহিম বুঝল,—এছাড়া এত বড় একটা সমস্যার সমাধান হ’বে না। মধ্যস্থ ব্যক্তিকে হতে হ’বে হিন্দু-মুসলমান উভয় দলের একান্ত আপনার জন। সে, সেই মুহুর্তে করে ফেললে জীবন পণ । সেই হ’বে মধ্যস্থ ব্যক্তি। তার জন্য আজ থেকে লেগে প’ড়তে হ’বে তাকে । পরদিন থেকে মহিম নিয়মিত মুসলমানপ্রধান গ্রামে যাতায়াত স্থরু করলো । মিশতে লাগলো তাদের সঙ্গে তাদেরই একজন হ'য়ে। মহিমের সুমধুর ব্যবহারে, বুদ্ধিমানের মত কথাবাৰ্ত্তায় মুগ্ধ হ’য়ে গেল সমস্ত মুসলমান সমাজ। অল্পদিনের মধ্যেই মহিম জয় ক’রে ফেললে মুসলমানদের মন । হিন্দুদের গ্রামের জমিদারের ছেলে মহিম ; আভিজাত্যের গৰ্ব্ব নেই, শিক্ষার গৰ্ব্ব নেই, অমায়িক তা’র ব্যবহার । সবাই তাকে ভালবাসে আপনার জন ভেবে । অজন্মার বৎসর, প্রজা খাজনা দিতে পারবে না অথচ জমিদারবাবুর কাছে যাবার মত সাহস নেই। গোপনে এসে খোকাবাবু, অর্থাৎ মহিমের সঙ্গে দেখা ক’রে নিজের দুর্দশার কাহিনী জানায়। জমিদারও ছেলেকে ভালবাসেন প্রাণের চেয়ে অধিক ; তাই তা’র অনুরোধ ঠেলতে না পেরে গরীবের সে বছরের খাজনা মাফ ক’রে দিলেন। এইরকম ক’রে দিন চলে ; মহিমও দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কিন্তু তা’তে কি হয় ? যে আগুন দু’টো জাতির মনে জ্বলছে আজ ছ’তিন পুরুষ ধীরে, তা কি শুধু কথা দিয়ে নেভানো যায় ?