বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খাদে ডাকাতি - ধর্ম্মদাস মিত্র.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ყo খাদে ডাকাতি মহিম যেদিন দলাদলি মেটানোর কথা তুললে খোদা ও ভগবানকে এক অথচ দু’টি বিভিন্নরূপ প্রতিপন্ন ক’রে, সেদিন আগুন যেন জ্বলে উঠলো দ্বিগুণ উৎসাহে, দু’দলই বিবাদ মেটাতে ক’রলে৷ অস্বীকার। এবং উভয় দল একথাও ভাবলো, বিপরীত দল মহিমকে গুপ্তচর হিসাবে পাঠিয়েছে। মহিম ফিরে এসে সারাদিন গুম হ’য়ে রইলো। কিছু মুখেও দিল না। সারাদিন । তা’র আপ্রাণ চেষ্টার ব্যর্থতায় সে একেবারে ভেঙ্গে পড়লো । তন্দ্রাচ্ছন্নের মত বসে মহিম ভাবছে। জানালার বাইরে দেখা যায় সুদূরপ্রসারী নীল আকাশ । এক একটা সাদা মেঘ ভেসে চলেছে । হঠাৎ ওপারের আকাশ-কোণে কালো মেঘ জমে ; তখন সন্ধ্যে হয়ে গেছে । মেঘে মেঘে সঙ্ঘর্ষ হয়ে বিজলী চমকায় ; গুরু গুরু শব্দে মেঘ-গৰ্জ্জন হয়। মহিম ভাবে, এ মেঘ যেন দুটো দলের বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। কিন্তু হঠাৎ তার তন্দ্র টুটে যায় বাইরের হৈ রৈ চীৎকারে । বাইরে বেরিয়ে দেখে, বড় পুকুরের পারে অসংখ্য মশাল জ্বলে উঠেছে আর তার উজ্জল আলোতে লাঠি, সড়কা ও অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে । মহিম দাড়িয়ে থাকতে পারলো না ; ছুটলে সেদিকে উন্মাদের মত। কিন্তু তার আগেই দু’দলে লড়াই বেধে গেছে। মহিম ক্ষিপ্রগতিতে ব্যুহের ভিতরে প্রবেশ করতে করতে চীৎকার করে উঠলো— “ভাই সব ! ক্ষান্ত হও, লড়াই থামাও।” কিন্তু তখন উভয় দলের শরীরে রক্তস্রোত প্রবল ও দ্রুত হয়ে উঠেছে । লড়াই