পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՆ- শ্বেতসার জমা হইলে উপরিস্থিত জল পুনঃ ফেলিয়া দেওয়া হয় । এইরূপ ৭ বা ৮ বার ধৌত করিলে পরিস্কৃত পালো প্রাপ্ত হওয়া যায়। উত্তমরূপ ধৌত না করিলে শটার তিক্ত রস সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হয় না । কিঞ্চিৎ কষ্টিক সোডার দ্রাবণ যোগ করিয়া ধৌত করিলে সহজে পালো পরিস্কৃত হইবে । তাহার পর ইহা রৌদ্রে শুষ্ক করিয়া লওয়া হয় । বিলাতে গম, যব, মকাই, চাউল, আলু, এরারুট প্রভৃতি হইতে পালো বাহির করা হয় । গম, যব প্রভৃতি এক দিন জলে ভিজাইয়া রাখিয়া পেষণ করা হয় । এই পেষিত গম বা যব জলে মিশ্রিত করিয়া পুৰ্ব্বোক্ত প্রকারে ছাকিয় লওয়া হয় । এই জল এক প্রকার কলের মধ্যে ঘুরাইলে জল ও পালো পৃথক হইয় পড়ে বলা বাহুল্য যে, এই কলদ্বারা পালো ছাকিয়া লইলে, শীঘ্র শীঘ্ৰ ধৌতকাৰ্য্য সমাধা হয় । তাহ না করিয়া পূৰ্ব্বোক্ত প্রকার পাত্রে রাখিয়া দিলে, পালো পাত্রের নীচে জমা হয় । তৎপরে জল ফেলিয়া দিয়া, পুনরায় ইহার সহিত জল মিশ্রিত করিয়া, কষ্টিক সোডার ক্ষীণ দ্রাবণ যুক্ত করা হয় । এবং পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে পালো পাত্রের তলে জমা হইলে, জল ফেলিয়া দেওয়া হয় । তৎপরে দুই তিন বার জলে ধৌত করিলে, কষ্টিক সোডার ক্ষার চলিয়া যায় । অতঃপর ইহা শুষ্ক করিলেই ৰিশুদ্ধ পালো প্রাপ্ত হওয়া যায়। . চাউল হইতে পালো প্রস্তুত করা তত সহজ নহে। চাউল প্রথমত কষ্টিক সোডার ক্ষীণ দ্রাবণে একদিন সিক্ত করিয়া রাখিতে হয় ; পরে ধৌত করিয়া, উত্তমরূপে পেষণ করা হয় । পরে ইহাতে পুনঃ ক্ষার দ্রাবণ যোগকরিয়৷ ২৪ ঘণ্টা জলে আন্দোলিত হয় । অতঃপর পূৰ্ব্বোক্ত প্রণালীমতে পালে জমাইয়া বিভক্ত করিয়া লওয়া হয় । নিম্ন লিখিত অন্ত প্রণালী অপেক্ষাকৃত সহজ । এই প্রণালীমতে প্রথমতঃ চাউল একদিন জলে সিক্ত করিয়া উত্তমরূপে পেষণ করিতে হয়। পরে এই পিষ্টক জলে মিশ্রিত করিয়া, ইহাতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের দ্রাবণ