পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় ডাইল ধান্তজাতীয় খাদ্যে যেমন শ্বেতসার প্রধান, সেইরূপ ডাইলে প্রোটিন্ড, প্রধান। কোন খাদ্যেই ডাইলের স্তায় এত অধিক মাত্রায় প্রোটিড, প্রাপ্ত হওয়া যায় না । কিন্তু ডাইলের প্রোটিড, অতিশয় ছম্পাচ্য । মৃদু উত্তাপে অনেক্ষণ সিদ্ধ না করিলে ডাইল জীর্ণ করা যায় না । ডাইল মুসিদ্ধ না করিয়া গ্রহণ করিলে পেটফাপ, অজীর্ণ, আমেশা, বাত প্রভূতি রোগ উৎপন্ন হয় । প্রায় সমস্ত ডাইল অল্পাধিক পরিমাণে তিক্ত । এই তিক্ত পদার্থ বিষাক্ত । সুসিদ্ধ করিলে এই বিষাক্ত পদার্থ বিনিষ্ট হয় । খেসারি ও মটর ডাইলে এই তিক্ত পদার্থ অপেক্ষাকৃত অধিক । সোডার জলে ভিজাইরা ধৌত করিলে এই বিষাক্ত পদার্থ তিরোহিত হয় । তৎপরে ইহা পিশিয়া লইয়৷ রন্ধন করিলে অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে জীর্ণ হয় । ডাইলের খোসা অপথ্য সুতরাং ডাইল উত্তমরূপে ছাট আবশুক । এতদেশীয় ব্যবসায়ীগণ খাদ্য দ্রব্যে নানারূপ ভেঁজাল দেয় । এই সৰ গ্ৰহণ করিয়া অনেক সময় উৎকট পীড় জন্মে। ডাইলে বালি ও পাথর চুর্ণ মিশ্রিত থাকে। চালনী দ্বারা এই সব আবর্জন বিমুক্ত করিয়া রন্ধন করা কৰ্ত্তব্য । ডাইলের মধ্যে মুগ, মম্বর, কলাই, ছোলা, অরহর শ্রেষ্ঠ । খেসারী ডাইল অত্যন্তু বাক্ত জনক ও গুরূপথ্য । ইহাতে অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে বিষাক্ত পদার্থ বিদ্যমান । খেসারি ডাইল সৰ্ব্বদ কখনও ব্যবহার করা বিধেয় নহে ৷ মটর গুটী অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে সুপাচ্য । নিম্নস্থলে নানা প্রকার ছাট ড্রাইলের রাসায়নিক খাদ্যগুণের পরিচয় প্রদত্ত হইল ।