পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় মহে অন্য মৎস্য বলকারক ও ভূস্বাদু খাদ্য। বিশেষ কারণ ব্যতীত বাঙ্গালী প্রত্যহ মৎস্ত গ্রহণ করিয়া থাকেন । মৎস্ত ব্যতীত বাঙ্গালীর আহার কিছুতেই তৃপ্তিকর হয় না । অসংখ্য নদ নদী, খাল, নালা, পুকুর পরিপূর্ণ বঙ্গদেশে ধনী নিধন সৰ্ব্ব বাঙ্গালীর গৃহেই মৎস্য সুলভ । পুৰ্ব্ববঙ্গে মৎস্ত অপৰ্য্যাপ্ত । মৎস্ত্যাহারী বাঙ্গালী জাতি সাহসী । পুৰ্ব্ববঙ্গের বাঙ্গালী পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী কর্তৃক “বাঙ্গালের গে।” উপাধিতে খ্যাত আছেন । বাস্তবিকই এই উক্তি সত্য । তাহারা যাহা করিবে স্থির করে, তাহ সমাধা করিতে প্রাণপণ করিতেও ইতস্ততঃ করে না । পুৰ্ব্ববঙ্গের বাঙ্গালী অনায়াসে বৃহৎ নদী সীতার দিয়া পার হইতে পারে, অনায়াসে কর্দমাক্ত দীর্ঘ পথ লগ্নপদে চলিয়া যাইতে পারে । তাহারা সারাদিন জলবৃষ্টিতে ভিজিয়া প্রফুল্লচিত্তে কৃষিকাৰ্য্য করে । তাহাদের কিছুতেই দুঃখ ক্লেশ নাহ । তাহাদের জমি উৰ্ব্বরতার আকর-বিনা সারেও প্রচুর শস্ত “প্রদান করে । তাহাদের ঘরে ভাত আছে ; আর খাল নালায় মাছ অেেছ । মাছ ধরায় অলসতা দূর হয় ও চতুরতা বৃদ্ধি হয় । মৎস্তভোজী বলিয়া বাঙ্গালী চতুরতা ও কাৰ্য্যক্ষমতায় স্ববিখ্যাত । মৎস্তে জিলেটিনের ভাগ অধিক থাকায় ইহা সাধারণতঃ মাংসের মত সুপাচ্য নহে। তবে শিঙ্গি, মাগুর, বাটা, মোরলা প্রভৃতি মৎস্য লঘু পাচ্য ও রোগীর পথ্য । কৃষ্ণবর্ণ বিশিষ্ট মৎস্তের তৈলের অধিকাংশ চৰ্ম্মের সহিত সংলগ্ন, সুতরাং ছাল বাদ দিয়া গ্রহণ করিলে ইহারা অতি লঘুপাচ্য হয় । সাধারণতঃ শঙ্কবিহীন মৎস্তের ছালে তৈলের অধিকাংশ ভাগ অবস্থান করে । * মেদকারিতাগুণে সাধারণতঃ মৎস্ত মাংসের সমকক্ষ না হইলেও