পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

הצeזהב سومیه কচ্ছপ সৰ্ব্বোত্তম । প্রত্যহ ইহার মাংস গ্রহণ করিলে রক্তপিত্ত্ব ব্যাধি আরোগ্য হয়। কাঠাদুরের পৃষ্ঠ উচ্চ ও বুকে হলুদে ও কাল দাগ আছে । হিন্দুশাস্ত্রে কয়েক প্রকার পঞ্চনখী জন্তুর মাংস গ্রহণ করিবার ব্যবস্থা আছে । ইছাদের মাংস অতি উত্তম । ভক্ষণীয় পঞ্চনখা—শশক ( খরগোল ), শল্পৰ্কী ( শজারু ), গোধ ( গোসাপ ), খড়গী (গণ্ডার ), কুৰ্ম্মশ্চ ( কচ্ছপ ) পঞ্চমঃ । ইতি স্মৃতিঃ । পক্ষীমাংস পক্ষীমাংস অতি স্বস্বাছ ও স্থপাচ্য । খাদ্যের জন্ত নানা জাতীয় কুকুট, হংস, পায়রা, বটর, হরিকেল প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ । বৃদ্ধ কিম্ব সদ্যজাত পক্ষীর মাংস নিকৃষ্ট । মেটিলি মেটিলি মুখরোচক কিন্তু গুরুপাচ্য । অনেকে রুগ্নব্যক্তিকে মাংস দেন না, কিন্তু মেটিলি গ্রহণ করিতে দেন। এই ব্যবস্থা অসঙ্গত । মাংস রন্ধন সুস্থ ব্যক্তির জন্ত নিম্নলিখিত প্রণালীমত মাংস রন্ধন করিলে ৰিলক্ষণরূপ স্বস্বাছ ও সুপাচ্য হয় । ংসে পরিমাণ মত মসলা দিয়া উত্তমরূপে মাখিবে । এক সের মাংসে এক ছটাক পরিমাণ দধি বা অৰ্দ্ধছটাক পরিমাণ লেবুর রস যোগ করিলে ভাল হয় । মাথার এক ঘণ্টা পরে এক ছটাক স্থত রন্ধন পাত্রে দিয়া উত্তপ্ত করিবে এবং ইহাতে দুইটা তেজপত্র ছাড়িয়া দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া মাংস কসিৰে । তৎপরে ইহাতে ছুই সের জল দিয়া সিদ্ধ করিৰে । সিদ্ধ করিতে দুই ঘণ্টার অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় না । অল্পৰয়স্ক খাসি পাঠার মাংস এক ঘণ্টা হইতে দেড় ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধ হয় । টিপিলে যখন হাড় হইতে মাংস ছাড়িয়া আসে তখন মাংস সিদ্ধ হইয়াছে বুঝিতে হইবে।