পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুগ্ধ שר দুগ্ধ ১৬০ ডিগ্রি (ফারেনহিট) উত্তাপে ১৪ হইতে ২০ মিনিট জাল দিয়া ফুটন্ত জলে ধৌত বোতলে উত্তমরূপে বন্ধ করিলে ইহা কয়েক দিন পৰ্য্যস্ত অবিকৃত অবস্থায় রাখিতে পারা যায় । ২১০ ডিগ্রি (ফারেনহিট) উত্তাপে দুগ্ধ ১৫ মিনিট জাল দিলে দুগ্ধ বিকৃতকারী সমুদায় বীজাণু বিনষ্ট হয় । কিন্তু ইহাতেও দুই একটা বীজাণু জীবিত থাকে, এই জন্ত ঐ দুগ্ধ বোতলে ভরিয়া কৰ্ক দ্বারা মুখ বন্ধ করিয়া পুনরায় ইহাকে ২২০ ডিগ্রি ( ফারেনহিট ) উত্তাপে ফুটন্ত জলের মধ্যে ২০ মিনিট রাখিতে হয়। তৎপরে জল শীতল হইলে ঐ বোতল বাহির করিতে হয় ; নচেৎ উত্তপ্ত বোতল বাহির করিলে ইহা ফাটিয়া যাইতে পারে । লবণ মিশ্রিত জলে বোতল উত্তপ্ত করিলে আরো ভাল হয় । এইরূপে দুগ্ধের জীবাণু ধ্বংস করিলে এই দুগ্ধ বহু দিন অবিকৃত অবস্থায় রক্ষা করা যাইতে পারে । দধি দধি অতিশ উপাদেয় খাদ্য। ইহা লঘুপথ্য, পাচক, রুচিকারক ও বাতনাশক, কিন্তু স্নিগ্ধ ; এই জম্ভ কফ ও কাস ( ব্ৰঙ্কাইটিস ) রোগে ইহা সেবন অনুচিত । আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্ৰে দধির বহু গুণ বর্ণনা আছে। আয়ু ৰ্ব্বেদ মতে মহিষের দধি গুরুপাক ছাগ দধি অজীর্ণ, শ্বাস, কাস ও অশ্ব রোগে ফলপ্রদ বলিয়া অভিহিত হইয়াছে । ঘোল অথবা মাটাতোলা ছন্ধের দধি অজীর্ণের মহৌষধ দধিতে স্থত থাকিলে ইহা গুরুপাচ্য হয় । মহিষ দুগ্ধে অধিক পরিমাণে এবং ছাগদুগ্ধে অল্প পরিমাণে মাখন থাকে বলিয়া মহিষ দুগ্ধ বা দধি গুরুপাক এবং ছাগদুগ্ধ বা দধি লঘু বলিয়া আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রকারগণ ব্যাখ্যা করিয়াছেন। আমাদের দেশে হাম জ্বরে ও আমাশয় রোগে দধি সৰ্ব্বদা ব্যবহৃত হয়। ইউরোপীয় চিকিৎসকগণ টাইফয়েড, নামক বিষাক্ত জরে, আমাশয় প্রভৃতি