১০
দারোগার দপ্তর, ১৬৫ সংখ্যা।
লোকে আজকাল যে এতটা করে, আমার বিশ্বাস ছিল না। আমি বলিলাম, “যথাসাধ্য চেষ্টা করিব, ফল ভগবানের হাতে। তবে আপনার বন্ধু যদি নিষ্পাপ হন, তাহা হইলে তিনি নিশ্চয়ই মুক্তি লাভ করিবেন।”
ভ। আপনি অবশ্যই এই বিষয় সমস্ত শুনিয়াছেন। আপনার কি বোধ হয়? আমার বন্ধুর মুক্তির কি কোন উপায় আছে? আপনি নিজে তাহাকে নির্দ্দোষী বলিয়া মনে করেন না কি?
আ। সম্ভব?
আমার কথা শুনিবামার ভবানীপ্রসাদ লালমোহনের দিকে চাহিয়া বলিয়া উঠিলেন, “দেখিলেন মহাশয়, আপনি ত আমায় একেবারেই হতাশ করিয়াছিলেন।”
লালমোহন আশ্চর্য্য হইয়া আমার দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। পরে বলিলেন, “আমার বিশ্বাস, উনি কিছু তাড়াতাড়ি নিজের মত প্রকাশ করিয়া ফেলিয়াছেন।”
আমি হাসিয়া উঠিলাম। ভবানীপ্রসাদ বলিয়া উঠিলেন, “উনিই সত্য বলিয়াছেন। আমি জানি, সে নির্দ্দোষী।”
আমি সে কথা চাপা দিয়া ভবানীপ্রসাদকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আপনার সহিত যতীন্দ্রনাথের কি কোন সম্পর্ক আছে?”
ভ। আজ্ঞা আছে;—যতীন আমার জ্ঞাতি ভাই।
আ। কি রকম জ্ঞাতি ভাই?
ভ। যতীনের পিতা ও আমার পিতা পরস্পর খুড়তত ভাই।
আ। আপনার এখন নিবাস কোথায়?
ভ। যতীনের বাড়ীর পার্শ্বে ই।
আ। শুনিলাম, যতীন্দ্রনাথ একটা প্রশ্নের উত্তর করিতে