আঘাত করিয়াছে, তাহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে। এ কথা পরে দেখিবেন ডাক্তারের সাক্ষাতেই প্রমাণিত হইবে।
আমার কথা শুনিয়া, লালমোহনের মুখ প্রসন্ন হইল। তিনি হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “আমরা একই জায়গায় একই রকম জিনিষ ও দাগ দেখিয়া আসিলাম। কিন্তু আমি চক্ষু থাকিতেও অন্ধ; দেখার মত দেখিতে পারিলাম না। আপনি যে একজন নিরীহ ব্যক্তির জীবন রক্ষা করিতে পারিবেন, ইহাই আপনার যথেষ্ট পুরস্কার। অন্য কোন পুরস্কার আপনার যোগ্য হইতে পারে না।”
আমি এখন লালমোহনের কথায় আন্তরিক আনন্দিত হইলাম। আত্মপ্রশংসায় নহে, তাঁহার একটী কথা আমার প্রাণে লাগিয়াছিল। আমি একজন নির্দ্দোষী লোকের জীবন রক্ষা করিয়া যে, পুরস্কার লাভ করিলাম, অন্য কোন পুরস্কার তাহার তুলনায় বাস্তবিকই তুচ্ছ বলিয়া বোধ হইল। খানিক পরে বলিলাম, “দারোগা বাবু। এখন একবার চলুন, শেষ কাজটা সারিয়া ফেলি।”
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।
তখনই দারোগা মহাশয়কে কেশব বাবুর শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। শুনিলাম, তাঁহার বাঁচিবার আশা নাই বটে কিন্তু তিনি লোকজনের সহিত এখনও বেশ কথাবার্ত্তা