খুনী কে?
২৫
কহিতে পারেন,—তবে শয্যাগত। বিছানা হইতে নড়িবার শক্তি নাই। সুতরাং তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার ইচ্ছা হইল।
আমি কেশব বাবুর বাড়ী জানিতাম না। কেশব বাবু যেসে লোক নন্; দেশের জমীদার, সুতরাং কাহারও সাহায্য ব্যতীত তাঁহার বাড়ী চিনিতে পারিলেও, গ্রাম বেড়াইবার ছলে থানা হইতে বহির্গত হইলাম। লালমোহন আমার সঙ্গে রহিলেন, কিন্তু তাঁহাকে কোন কথা ভাঙ্গিলাম না।
থানা হইতে জমীদার বাটী প্রায় একক্রোশ, আমরা গল্প করিতে করিতে আধ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হইলাম। শুনিলাম, কেশব বাবু একটু ভাল আছেন।
বাড়ীর এক ভৃত্য আমাদিগকে তাঁহার গৃহে লইয়া গেল। ঘরে প্রবেশ করিলে কেশব বাবু হাত নাড়িয়া আমাদিগকে তাঁহার নিকটে বসিতে ইঙ্গিত করিলেন। আমরা বসিলাম।
আমরা বসিলে পর, তিনি অতি ক্ষীণস্বরে আমার দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কোথা হইতে আসিতেছেন? আপনার সঙ্গীটীই বা কে?”
আমি বলিলাম, “আমি একজন ডিটেকটিভ পুলিশ কর্ম্মচারী ও আমার সঙ্গী আপনাদিগের থানার দারোগা।”
আমি এই কথা বলিবামাত্র কেশব বাবু চমকিত হইলেন। তাঁহার মুখ পাংশুবর্ণ ধারণ করিল। সমস্ত শরীর যেন কাঁপিতে লাগিল। তিনি অতি বিমর্ষভাবে আমার দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া রহিলেন।
তাঁহার এইরূপ অবস্থা দেখিয়া, আমি তাঁহার মনের ভাব