আ। সে কথা আমি নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারি না।
কে। আমি শীঘ্রই ইহলোক ত্যাগ করিব। ডাক্তার কবিরাজ আমায় জবাব দিয়া গিয়াছেন, আমি মরিবার পর যদি এ কথা প্রকাশ হয়, তাহা হইলে আর কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হইবে না।
আ। তাহাই হইবে।
এই সময় তাঁহার চিকিৎক ডাক্তার আসিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন, তিনিও সকল কথা শুনিলেন।
কেশব বাবু ক্ষণকাল কি চিন্তা করিলেন। পরে বলিলেন, “আমার এমন শক্তি নাই যে আমি স্বয়ং লিখিতে পারি। আমার কথা কহিতেও কষ্ট বোধ হয়।”
আমি উত্তর করিলাম, “আপনাকে লিখিতে হইবে না। আপনার চিকিৎসক এই ডাক্তার বাবু সে কার্য্য করিবেন। আপনি কেবল স্বাক্ষর করিলেই হইবে।”
ডাক্তার বাবু আমার কথা শুনিয়া নিতান্ত কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া একখানি কাগজ লইলেন। পরে বলিলেন, “কি বলিবেন বলুন, আমিই লিখিয়া দিতেছি।”
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
কেশব বাবু বলিতে আরম্ভ করিলেন;—
“দামোদর সামান্য লোক নহে। সে মানবাকারে একজন দস্যু। এই বিশ বৎসর সে আমায় জ্বালাতন করিয়া আসিতেছে।