পাতা:গঙ্গা-মঙ্গল.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|o হইয়াছিলেন, তাই উক্ত ভণিত হইতে সহজেই অনুমিত হইতে পারে । - মাধবাচাৰ্য্য একজন শ্রেষ্ঠ ক্ষমতাবান্‌ কবি। ‘জাগরণ ও ‘গঙ্গামঙ্গলে’ তাহার, ক্ষমতার পুর্ণ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। তাহারই তুলিকার উপর রঙ ফলাইয় কবিকঙ্কণ চক্রবর্তী স্বীয় কাব্যগত চিত্রটি মাধবাচার্য্যাঙ্কিত চিত্রপেক্ষা বেশী সজীব ও সুন্দর করিয়া গিয়াছেন ৷ ‘গঙ্গামঙ্গল’ রচনায় কবি একবারে আত্মবিস্মৃত হইয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয়। এ জন্ত তিনি অনেক সময়ে আত্মসংযম রক্ষা করিতে না পারিয়া একই কথা বিভিন্ন ভাষা, ছন্দ ও রাগ-রাগিণীতে বীর বার বলিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারেন নাই । তাহাতে শ্রোতা ও পাঠকের ধৈর্য্যচুতি হইতে পারে, ভাবের বিহবলতায় তিনি এ আশঙ্কা পৰ্য্যন্ত করিবার অবসর পান নাই । বিবিধ ছন্দ ও রাগ-রাগিণীর ঝঙ্কারে ও নানা তথ্যের অবতারণায় পুথিখানি যেমন মনোজ্ঞ, তেমনই কতকটা একঘেঁয়ে ভাবও ধারণ করিয়াছে বলিয়া মনে হয়। এ সামান্ত ক্রটি সত্ত্বেও পুথিখানি যে সুন্দর ও উপাদেয়, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নাই । o মাবধাচার্য্য সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন । সে জন্ত র্তাহার ভাষা যেমন বিশুদ্ধ, তেমনই পাণ্ডিত্য-ব্যঞ্জক ; সুতরাং অনেক স্থলে কিছু দুরূহও বটে। এই পুথিতে আলোচনা-যোগ্য অনেক শব্দ ও বিভক্তি আছে। পরিশিষ্টভাগে আমরা তৎসম্বন্ধে কিছু আলোচনা করিব, বাসন রহিল। অতীব দুঃখের বিষয়, ৮১ পত্রের পর পুথিখনি খণ্ডিত হই। গিয়াছে । তারপর আর কতটি পত্র ছিল, ঠিক বলিবার উপায় নাই । তবে বক্তবা বিষয়ের দিকে দেখিয়া বুঝা যায়, পুথির দুই চারি পত্রের