পাতা:গঙ্গা-মঙ্গল.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Me বেশী বিনষ্ট হয় নাই। শেষ পত্রে গ্রন্থের রচনাকালজ্ঞাপক “ইন্দু বিন্দু বাণধাতার” মত কোন পদ ছিল কি না, সে কথা জানিবারও কোন উপায় দেখি না । পুথিখানি উভয় পৃষ্ঠে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা । লেখাগুলি অতি প্রাচীন ও জটিল ধরণের। অনেকগুলি অক্ষরের রূপ বিচিত্র। পুথিখানি এখন অত্যন্ত জীর্ণশীর্ণ হইয়া গিয়াছে। এত প্রাচীন পুথি আমার নিকট বড় বেশী নাই। হস্তলিপির বয়স ২০০ বৎসরের বড় নুনি হইবে বোধ হয় না। কাগজ একবারে তামকুটপত্রের আকার ধারণ করিয়াছে। সুবিধা থাকিলে এখানে একটি পত্রের ফটোগ্রাফ করিয়া অক্ষরাদির নমুনা প্রদর্শন করিতে পারিতাম। পুথিখানি শেষ পর্য্যন্ত পাওয়া যায় নাই, তাহ উপরে বলিয়াছি। তথাপি এরূপ একখানি অসম্পূর্ণ পুথি প্রকাশ করিলাম কেন, তৎসম্বন্ধে একটা কৈফিয়ৎ দেওয়া আবশুক বোধ হইতেছে । আমি বহু দিন পর্য্যন্ত পুথির অনুসন্ধান ও সংগ্ৰহকাৰ্য্যে ব্যাপৃত আছি,— অসংখ্য পুথিও আমার নয়নগোচর হইয়াছে; কিন্তু কোথাও আর একখানি “গঙ্গামঙ্গল” পাই নাই। সাহিত্য-পরিষদের পুস্তকালয়েও এই পুথি পাওয়া যায় নাই। বাঙ্গালার অন্ত কাহারও নিকটেও ইহ আছে বলিয়া এ পর্য্যস্ত জানিতে পারি নাই । যে আদর্শ অবলম্বন করিয়া পুথিখানি প্রকাশিত হইল, তাহা একান্ত জরাজীর্ণ ভাবে বর্তমান। তাহার এ জীর্ণ দেহ আর বেশী দিন রক্ষা করা যাইবে না। এই অবস্থায় অসম্পূর্ণ বলিয়া ইহা প্রকাশ না করিলে পৃথিবী-পৃষ্ঠ হইতে অচিরে ইহার চির-বিলুপ্তি ধ্রুব নিশ্চিত। মানুষের মত পুথির পুনর্জন্ম নাই। সুতরাং একবার লয় প্রাপ্ত হুইলে তাহার আর পুনঃপ্রাপ্তির সম্ভাবনাও নাই। বিশেষতঃ মাধবী