পাতা:গঙ্গা-মঙ্গল.djvu/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা দেবদেবীর মাহাত্ম্য ঘোষণা ব্যপদেশেই প্রাচীন বঙ্গ-সাহিত্যের একাংশ গঠিত হইয়াছিল, এ কথা এখন অসঙ্কোচেই বলা যাইতে পারে। যেখানে ক্ষুদ্র বৃহৎ প্রায় প্রত্যেক দেবতারই মহিমা প্রকাশক অসংখ্য ছড়া, কবিতা, পাঁচালী প্রভৃতি বৰ্ত্তমান, সেখানে গঙ্গার মত সৰ্ব্বজন-পূজ্য দেবীর মাহাত্ম্য-ব্যঞ্জক গ্রন্থাদির অল্পত দেখিলে হৃদয়ে কতকটা বিস্ময়ের সঞ্চার হইবে, ইহা কিছু বিচিত্র কথা নহে। কিন্তু একটা কথা ভাবিলে অচিরেই আমাদের হৃদয় হইতে সেই বিস্ময়ের ভাব তিরোহিত হইয়া যায়। হিন্দু মাত্রেরই হৃদয়ে গঙ্গা-ভক্তির একটা স্বধৃঢ় সিংহাসন স্বপ্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। | এই অবস্থায় তদীয় মহিমা প্রকটন করিবার জন্ত অন্ত কোনরূপ লৌকিক চেষ্টার যে সার্থকতা নাই, তাহ সহজেই বুঝা যায়। গঙ্গার মাহাত্ম্য দ্যোতন করিবার জন্ত বঙ্গসাহিত্যে এত অল্পসংখ্যক কবির লেখনী ধারণের কারণ ইহা ভিন্ন আর কিছুই আছে বলিয়া মনে হয় না । সুতরাং এ সম্বন্ধে আমাদের সাহিত্যে যে দুই চারিখানি গ্রন্থ আছে, তাহা আমাদের বিশেষ সমাদরযোগ্য ও উপরি লাভ বলিয়াই মনে করা উচিত। ত্রিবেণীর গাজী দরাফকৃত ‘গঙ্গা-বন্দনা’ ও বিদ্যাপতি-বিরচিত ‘গঙ্গ-বাক্যাবলী’ সংস্কৃত ভাষায় বিরচিত—সুতরাং আমাদের আলোচনার বহিৰ্ভুঞ্জ। রামজয়কৃত ‘গঙ্গা দেবীর চৌতিশা, কোন অজ্ঞাত্বনাম কবির রচিত ‘গঙ্গাষ্টক শ্লোক, দুর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কত ‘গঙ্গা-ভক্তি-তরঙ্গণী’, জয়রাম প্রণীত ‘গঙ্গামঙ্গল’ এবং