(৩) এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বিধিসমূহ-সাপেক্ষে কোন্ কোন্ বিচারককে লইয়া[১][কোন্ বিভাগের কোন্ বেঞ্চ গঠিত হইবে] এবং কোন্ কোন্ বিচারক কোন্ উদ্দেশ্যে আসনগ্রহণ করিবেন, তাহা প্রধান বিচারপতি নির্ধারণ করিবেন।
(৪) প্রধান বিচারপতি সুপ্রীম কোর্টের যে কোন বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারককে সেই বিভাগে এই অনুচ্ছেদের (৩) দফা কিংবা এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বিধিসমূহ-দ্বারা অর্পিত যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগের ভার প্রদান করিতে পারিবেন।
“কোর্ট অব রেকর্ড” রূপে সুপ্রীম কোর্ট ১০৮। সুপ্রীম কোর্ট একটি “কোর্ট অব্ রেকর্ড” হইবেন এবং ইহার অবমাননার জন্য তদন্তের আদেশদান বা দণ্ডাদেশদানের ক্ষমতাসহ আইন-সাপেক্ষে অনুরূপ আদালতের সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকিবেন।
আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ১০৯। হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন সকল[২][আদালত ও ট্রাইব্যুনালের] উপর উক্ত বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা থাকিবে।
অধঃস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর ১১০। হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত বিভাগের কোন অধঃস্তন আদালতের বিচারাধীন কোন মামলায় এই সংবিধানের ব্যাখ্যা-সংক্রান্ত আইনের এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা এমন জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয় জড়িত রহিয়াছে, সংশ্লিষ্ট মামলার মীমাংসার জন্য যাহার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত আদালত হইতে মামলাটি প্রত্যাহার করিয়া লইবেন এবং
(ক) স্বয়ং মামলাটির মীমাংসা করিবেন; অথবা
(খ) উক্ত আইনের প্রশ্নটির নিষ্পত্তি করিবেন এবং উক্ত প্রশ্ন সম্বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের নকলসহ যে আদালত হইতে মামলাটি প্রত্যাহার করা হইয়াছিল, সেই আদালতে (বা অন্য কোন অধঃস্তন আদালতে) মামলাটি ফেরত পাঠাইবেন এবং তাহা প্রাপ্ত হইবার পর সেই আদালত উক্ত রায়ের সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া মামলাটির মীমাংসা করিতে প্রবৃত্ত হইবেন।
- ↑ “কোন্ বিভাগের কোন্ বেঞ্চ গঠিত হইবে” শব্দসমূহ পুনর্বহাল করা হইয়াছে; কেননা সংবিধান (অষ্টম সংশোধন) আইন, ১৯৮৮ (১৯৮৮ সনের ৩০ নং আইন) বলে “কোন্ বিভাগের কোন্ বেঞ্চ গঠিত হইবে” শব্দসমূহের পরিবর্তে “সুপ্রীম কোর্টের কোন্ বিভাগের কোন্ বেঞ্চ গঠিত হইবে বা ১০০ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় উলি খিত হাইকোর্ট বিভাগের কোন্ স্থায়ী বেঞ্চের কোন্ বেঞ্চ গঠিত হইবে” শব্দসমূহ, সংখ্যাসমূহ এবং বন্ধনীসমূহ প্রতিস্থাপিত হইয়াছিল, যাহা মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক এতিয়ার বহির্ভূত ও অকার্যকর ঘোষণা করা হইয়াছে [৪১ ডি,এল,আর, ১৯৮৯ (এ,ডি,) পৃঃ ১৬৫]।
- ↑ “আদালত ও ট্রাইব্যুনালের” শব্দগুলি “আদালতের” শব্দটির পরিবর্তে সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৮ নং আইন) -এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।