উদ্ভিজ্জের পরিচয় ও সAখ্যা । مؤ ه ۵ , কিন্তু পুঙ্গাম্বেষণার্থে এতাস্তুশ অধিক কাল অপৰ্যয় করা আর্যস্ত স্থার্থতার কৰ্ম্ম, ইহা কোন ২ লোক বিবেচনা করিয়া থাকেন বটে, কিন্তু উদ্ভিজ্জ্ববিদ্যাস্থাসহইতে যে স্থখ উৎপন্ন হয় বিপক্ষবাদিরা তৎস্থখাস্বাদনে বঞ্চিত। অধিকন্তু উদ্ভিজ্জবিদ্যার উপযোগিতা জ্ঞান হইতে যে কি পৰ্যন্ত উপকার হইতেছে তাহার তদ্বিষয় বিবেচনা করিতেও অনভিজ্ঞ ; কারণ তাহারা পীড়িত হইলে বহুস্থ দ্য দিয়া যে সমস্ত ঔষধ ক্রয় করিয়া থাকে, তাহার অনেকানেক ঔষধ তাহাদের অতি নিকট জাত গাছ গাছড়াহইতে যে প্রস্তুত হয় তাহা তাহারা জ্ঞাত নহে, সুতরাণ অজ্ঞানতার নিমিত্ত্বে করতলস্থিত দ্রব্যের গুণ তাহাদের পক্ষে দুজ্ঞেয় হইয়াছে। অপর বহুকাল হইল উত্তর আমেরিকা দেশীয় fচকিৎসকেরা এবং ঔষধ বিক্রয় কারকগণ উদ্ভিজ্জবিষয়ক জ্ঞানাভাৰ প্রযুক্ত স্ব ২ দেশের সর্বস্থানে রাশি ২ পরিমাণে যে ২ গাছড়া জন্মিয়৷ থাকে সেই ২ গাছড়াহইতে প্রস্তুত ঔষধের জন্তে ইউরোপে লোক প্রেরণ কfরত। দেখ ইহাতে বিস্তর সময় ও ধন ব্যয় হয় কি না ? উদ্ভিজ্জগণ উপকারক বটে, কিন্তু তন্মধ্যে অকৰ্ম্মপ্ত ও কৰ্ম্মপ্ত উভয় প্রকার আছে, অতএব অকৰ্ম্মerদিগকে পরির্যাগ করিয়া কৰ্ম্মহুদিগকে জ্ঞাত হইতে না পারিলে তারা আমাদের কোন উপকারের সম্ভাবনা নাই । এই হেতুক গাছ গাছড়ার গুণ পরীক্ষা ও উপযোগিতা প্রকাশার্থে দেশে ২ উদ্ভিদ্বেত্তার অধিষ্ঠাণ অতি প্রয়োজনীয় হইয়াছে। দেখ, ইউরোপখণ্ডে অধিক উদ্ভিদ্বেত্ত থাকাতে তদেশীয় লোকেরা আমেরিকা দেশস্থ জনগণাপেক্ষ উদ্ভিজ্জ বিষয়ে অধিক বিজ্ঞ। জন্মস্থানান্থসারে উদ্ভিজ্জগণ ছয় প্রকারে বিভক্ত হইতে পারে ; যে দেশে যে ব্ৰক্ষ স্বভাবতঃ উৎপন্ন হয় তাহাকে তাহার জন্মস্থান কহে। তাহাদের নাম যথা, ১ জুঙ্গশৈলজ, ২ গিরিজ, ও ছায়াজাত, ৪ নিম্ন ও শুষ্ক ভূমিজ, ৫ বারিজ, ও তরুজ। অতু্যচ্চ পৰ্বতোপরি জাত উদ্ভিজ্জগণ দুঙ্গশৈলজ নামে প্রসিদ্ধ। যাহার ক্ষুদ্র পর্বতোপরি শুষ্ক ছত্তিকায় জন্মিয় স্থষ্ঠের উত্তাপে উত্তপ্ত হয়, তাহাদিগকে গিরিজ কহ যায়। ছায়াজাত উদ্ভিজ্জগণ বনে ও ছায়াযুক্ত স্থানে উৎপন্ন হয়, এবণ রৌদ্র তাহণদের এরূপ অসহ্য যে ছায়াকারি ব্ৰক্ষদিগকে ছিন্ন করিলেই তাহারা স্নান এবং স্তত হয়। যা
