পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > bゲ উদ্ভিজ্জের পরিচয় ও সAখ্যা । শ্বৰ্বোক্ত হইডন দেশোদ্ভব লিনীয়স নামক শ্রেষ্ট উদ্ভিদ্বেত্ত স্বনাম প্রসিদ্ধ অস্ত রীতি রচনা করিয়াছেন। লিনীয়স তাবৎ উদ্ভিজ্জকে চতুৰ্বিংশতি ( ২৪) শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছেন, কারণ পুণকেশরবিহীন পুষ্প নাই, ইহা অন্বেষণদ্বারা জ্ঞাত হইয়া ঐ পুংকেশরের সংখ্যান্থসারে তাহাদিগকে পৃথক্ থথক্ করিয়াছেন। যথা এক পুংকেশর বিশিষ্ট উদ্ভিজ্জগণকে প্রথম শ্রেণীর, এবং দুই পুংকেশর যুক্তদিগকে দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তঃপাতী করিয়াছেন। অপর কতকগুলিন পুষ্প সম্বন্ধীয় পু”কেশরের দীর্ঘতার বৈলক্ষ্য থাকাতে তিনি তাহুশ পুপবিশিষ্ট উদ্ভিজ্জগণকে এক স্বতন্ত্র শ্রেণী করিয়া রাথিয়াছেন। অপর যে যে পৃপগণের পুকেশরের অবস্থানের বিভিন্নতা আছে, লিনীয়স্ তাহাদিগকে গুথকৃ করিয়া রাখিয়াছেন ; এবং যাহাদের পুংকেশর সকল অন্যন্ত স্থক্ষেতাপ্রযুক্ত নয়নগোচর না হয়, এরূপ পুংকেশর বিশিষ্ট পুষ্পগণকে আর এক স্বতন্ত্র শ্রেণী করিয়া রাখিয়াছেন । এই রূপে পুণকেশরের সংখ্যাক্রমে উদ্ভিজ্জ্বগণ চতুৰ্বিংশতি বর্গে বিভক্ত হইয়াছে। মূলের কথা। উদ্ভিজ্জের যে ভাগ মাটীর মধ্যে প্রবেশ করে এবণ যাহার শক্তিতে উদ্ভিজ্জগণ দণ্ডায়মান হইয়া থাকে তাহাকেই স্থল বলা যায়। এই স্থল উদ্ভিজ্জগণের জীবনের স্থল হইয়াছে। আদ্র বীজহইতে স্থলের উৎপত্তি হয়, অর্থাৎ একটা শক্ত মটর লইয়া আর্দ্রস্থানে বা মুক্তিকার মধ্যে পুতিয়া রাখিলে তাহা ক্রমে ক্রমে আর্দ্র হইয়া স্ফীত হইবেক। পরে যে স্থানে চোক্‌ নামক একটি শ্বেতবর্ণ বিন্দু আছে সেই স্থান বিদীর্ণ করিয়া সূক্ষ্ম স্থল ও প্রকাণ্ড নির্গত হয়। যেরূপে বীজ স্ফীত ও বিদীর্ণ হইলে কলা নিৰ্গত হয়, তাহা যদি প্রযেক্ষ দেখিতে চাহ, তবে জলপ্পুর্ণ পাত্রেতে একটা কাকের সিপী ভাসাইয়৷ তদুপরি কএকটা সর্ষপ ধীরে ধীরে ছড়াইয়া দিলে কৃতকাস্থ্য হইবা । ঐ স্থলেতে উদ্ভিজ্জের বিস্তর উপকার হয় । অণুবীক্ষণ যন্ত্ৰ দিয়া দেখিলে স্থল সকলের সীমাতে স্ফীত পিণ্ড সকল নয়নগোচর হইবে ; তাহারা সচ্ছিন্দ্রপ্রযুক্ত পৃথিবীহইতে জল ও