পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাত্রবেধি । b” o নতুবা যৎপরোনাস্তি পরিশ্রম ও চেষ্টা দ্বারা যে অহুপ্রাস ও যমক রচিত হয়, তাহ বাক্যের প্রাণস্বরূপ ন কইয়। বরণ তfদ্বপরীত প্রাণ হস্তারক হইয় উঠে, অর্থাৎ তাহ ষে কি পৰ্যন্ত শ্রুতিকটু ও ভাৰ বিরুদ্ধ তাহ বলিবার নহে। ফলতঃ পরিশ্রম লব্ধ রচনাই নিতান্ত নীরস হইয়া উঠে। যে রচনা স্থলেখকের লেখনী হইতে অবলীলাক্রমে নিঃস্থত হয়, তাহাই স্বপ্রাহ্য ও ফলদায়ক হইয়া থাকে। এজন্ত আলস্কারিক মাত্রেই স্বভাব কবিদিগেরই প্রতিষ্ঠা করিয়া থাকেন, কষ্ট কবিদিগকে নিতান্ত হেয় ও অশ্রদ্ধেয় বোধ করিয়া থাকেন। আমাদের মহাকfব কালিদাস ও ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর প্রভতির রচনা প্রণালী দ্বারা স্লষ্টই প্রতীতি হইতেছে, যে র্তাহারা পরিশ্রম ও চেষ্টা দ্বারা যমকান্থ প্রাসময়ী কবিতা রচনা করেন নাই। কেবল রচনার ভাব রস রক্ষার্থই যত্নবান হইয়াছিলেন । এই কারণেই তাহারা এতদেশের সর্বপ্রধান কবি ৰfলয়া অক্ষয় কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন ; এই কারণেই তাহার এতদ্দেশের গৌরবের পতাকা স্বরূপ হইয়া রহিয়াছেন ; এবণ এই কারণেই তাহারা মন্ত্রলীলা সম্বরণ করিয়াও জীবিত প্রায় হইয়া রহিয়াছেন। কেহ কেহ বিবেচনা করেন, অতি তেজস্বী গুরু শব্দ প্রয়োগ কfরলেই রচনা উৎকৃষ্ট হয়। কোন কোন মহাশয় বোধ করেন, অতি সহজ লষু ও ললিত শব্দ বিদ্যাস করিতে পারিলেই রচনা সুমিষ্ট হয়। কেহ কেহ কহেন সমাস বাহুস্ত দীঘপদ ও দীর্ষবাস্ত থাকিলেই রচনার মাধর্য্য হয়। কেহ কেহ বোধ করেন, ক্ষুদ্র পদ, ও ক্ষুদ্র বান্ত বিশিষ্ট রচনাই লোকের হৃদয়গ্রাহিণী হয়। কিন্তু কি তেজস্বী গুরু শব্দ, কি লঘু ও ললিত শব্দ, কি অস্থ প্রাস, কি যমক, কি দীর্যপদ, কি ক্ষুদ্র পদ, fক দীর্ষ বাস্ত, কি ক্ষদ্র বান্ত, কিছুতেই রচনার উৎকর্ষ সাধন হইতে পারে না। কেবল যে কোন প্রকারে হউক, মনোগত অভিপ্রায় স্লষ্ট প্রকাশ করিতে পারিলেই রচনা উৎকৃষ্ট হইয়া থাকে। মনোগত অভিপ্রায় প্রকাশার্থই মনুস্থ্য সমাজে রচনার স্তুষ্টি হইয়াছে। মনোগত অভিপ্রায় প্রকাশ করিতে হইলে, স্থল বিশেষে ও রস বিশেষে এবং ছন্দ বিশেষে কোথাও তেজস্বী গুরু শব্দ, কোথাও অতি সহজ ললিত ও লম্বু শব্দ, কোথাও দীর্যপদ, কোথাও ক্ষত্র পদ, কোথাও দীৰ্ঘবাক, এব০ কোথাও 蠶