পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাত্ৰবোধ । レ〜○" অনুপ্রাস ও যমকময়ী রচনার উদাহরণ। “ রে পাষণ্ড ষণ্ড এই প্রকাপ্ত ব্ৰহ্মাণ্ড কাপ্ত কাগু দেখিয়াও কাগুজ্ঞান শুন্ত হইয়া বকা গুপ্রস্তাশার স্থায় লণ্ড ভণ্ড হইয়া ভণ্ড সন্ন্যাসীর স্যায় ভক্তি ভাপ্ত ভঞ্জন কfরতেছ, এব০ গবা পণ্ডের স্তায় গণ্ডে জন্মিয়া গণ্ডকীস্থ গণ্ড শিলার গঞ্জ না বুঝিয়া গণ্ডগোল করিতেছ।” এক্ষণে ছাত্রৱন্দ একবার মনোমস্থ্যে প্রণিধান ফরিয়া দেখ! এই প্রকার অপ্রসিদ্ধ শব্দ ও যমকান্থপ্রাসময়ী রচনা কেমন ভাব প্রকাশিকা, শ্রবণ সুখকরী, ও হৃদয়গ্রাহিণী হয় ! কোন কোন বৈয়াকরণ বিবেচনা করেন, যে কেবল তাবরণ দুষ্ট পদ না থাকিলেই রচনা উৎকৃষ্ট হয়। র্তাহীদের এfববেচনা কোন ক্রমেই যুক্তি সঙ্গত নহে। কারণ রসালঙ্কারহীন ব্যাকরণ শুদ্ধ রচনা কোন ক্রমেই রসজ্ঞ ব্যক্তির হৃদয়গ্রাহিণী হইতে পারে না। রস ও অলঙ্কারই বাক্যের জীবন স্বরূপ। বিশেষতঃ রসালস্কারহীন কাব্য, কাহ্য বলিয়াই পরিগণিত হয় না, “কাব্য রসাত্মক” বাকম্ভণ ।” এ বিষয়ে এক হন্দর প্রমাণ প্রদর্শন করা যাইতেছে। একদা কোন বিদ্যোৎসাহী রাজা এক জন স্বভাব কবি ও এক জন বৈয়াকরণ সমভিস্যাহারে উপবন ভ্রমণ করিতেছিলেন । সম্মুখভাগে অতি স্বমধুর কোকিল ধনি প্রথমে বৈয়াকরণকে পঞ্চটিকা ছন্দের এক চরণে সমাকুল নিকুঞ্জোছান দর্শন করিয়া বর্ণন করিতে আদেশ করিলেন, বৈয়াকরণ মহা কষ্টে এই কবিতা রচনা করিয়া আন্তত্তি করিলেন, যথা, “ অস্যোৎ পুষ্ট স্বনিতাক্রীড়ও ” তৎপরে কবিকেও সেই বিষয় সেই ছন্দের এক চরণে বর্ণন করিতে আদেশ করিলে তিনি তৎক্ষণাৎ অবলীলাক্রমে রচনা করিয়া সহাস্য বদনে আস্তুত্তি করিলেন। “কোকিল কাকলি কুজিত কুঞ্জ ।” এক্ষণে ছাত্রবর্গ বিবেচনা করিয়া দেখ, কবির ও বৈয়াকরণের রচনার কত তারতম্ভ লক্ষিত হইতেছে। বৈয়াকরণের রচনার এক একটি শব্দ এক একটি নীরস কাঠ দণ্ড বোধ হয় । কিন্তু কবির পদবিম্বাস দ্বারা м 2