পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জানুয়ারি-জুন) ১৮৯৪.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ খণ্ড। ] গবর্ণমেন্ট গেজেট, ১৮৯৪ সাল ৩০ জানুয়ারি। y a - --- sحیطه حجستاتصاتچ n - --- - - --- - – t *مس۔ অভিপ্রায় ও হেতুর বিবরণ। বৃটিষ ভারতবর্ষস্থ জেল সমূহের কার্য্যপ্রণালীর বিধান করণার্থ ও ঐ সকল জেলে শাসন রক্ষার্থ এক্ষণে চারিট ভিন্নং আইন প্রচলিত আছে। এই আইনগুলির নানা প্রয়োজনীর বিষয়ে বৈসাদৃশ্য আছে, যথা জেল সম্বন্ধীয় অপরাধ, ঐ সকল অপরাধের দণ্ড এবং কোন্‌ কর্তৃপক্ষ ঐ সকল দণ্ড দিতে পারবেন। এই কারণে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে জেলের কায্যনির্বাহের প্রথা ভিন্ন২ হইয়া দাডাইয়াছে। দেশের সাধারণ শাসন কার্য্যকর হুইতে গেলে কারাবাসের দণ্ড সকল স্থানে একইরূপে ভোগ হওয়া উচিত। কিন্তু জেলের কার্য্যনিৰ্ব্বাহের ভিন্ন। এধা থাকা প্রযুক্ত ইহা ঘটিতেছে না। স্থানীয় চারিট আইন রহিত করিয়া ব্ৰটিষ ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্র একই প্রকারের কারাগার শাসনের প্রথা নির্দেশ করা এই পাণ্ডুলিপির উদ্দেশ্য। ২ । এই পাণ্ডুলিপিখানি প্রণয়ন করিবার সময় উত্তর পশ্চিম প্রদেশ ও অযোধ্যা, পঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, কুর্গ ও ব্রহ্মদেশে প্রচলিত (কারাগার সম্বন্ধীয আইন সংশোধন করণার্থ) ১৮৭০ সালের ২৬ আইন ভিত্তিমূল স্বরূপ গ্রহণ করিয়া ১৮৮৯ সালের জেল কমিটার এবং ১৮৯২ সালের কারাগার সম্বন্ধীয় কনফারেন্সের রিপোর্ট পাঠে ভারতবর্ষের গবর্ণমেণ্ট যে সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হন তাহা সংশোধন স্বরূপ গ্রহণ করা হইষাছে । এই সকল সিদ্ধান্ত হোম ডিপার্টমেন্টের ১৮৯২ সালের ৯ নবেম্বর তারিখের নিদ্ধারণে ও স্থানীয় গবৰ্ণমেন্ট ও এড মিনিষ্ট্রেসন সমূহের নামে ১৮৯৩ সালের ২৫ মার্চ তারিখের সরকুলর পত্রে প্রদত্ত হইয়াছে। এই নিৰ্দ্ধারণ ও পত্রকে এক্ষণে আইনের আকারে পরিণত করা অবশ্যক বোধ হইয়াছে। ৩। এই পাণ্ডুলিপির যে সকল অংশ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য প্রকাশ করা আবশ্যক বোধ হইয়াছে তাহার এই পারাগ্রাফে উল্লেখ করা যাইতেছে। ৩ ধারায় “ কারাগার,’ ‘ অধীন জেল,” ফৌজদারী কয়েদি, “দণ্ডিত ফৌজদারী কয়েদি," এবং ‘দেওBB BBBS BB BBBBB BBBBB BBB BB BDD DDBB BBB SBBB BBDS LLS DDD DS এই দুইটী শব্দের অর্থ যোগ করা হইয়াছে। ১১ ধারা । জিলার মাজিষ্ট্রেট সদর জেল ও প্রেসিডেন্সি টাউনস্থিত করাগার ভিন্ন কারাগার সমূহের সুপারিন্টেণ্ডেন্টের প্রতিই কেবল আদেশ করিতে পরিবেন এই বিধান করা হইয়াছে । ১২ ধারা। কারাগারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বন্দোবস্তের ভার ডাক্তরের উপর অপিত হইয়াছে । ২৩ ধারা। এই ধারায় সংযোজন করিয়া পোলীস কর্তৃক শারীরিক পাডনের মিথ্য অভিযোগের প্রতিবিধানার্থ এমন উপায় করা হইয়াছে যাহাতে কাৰ্য্য হইবে এবং এরূপ অসদাচরণ করা হইলে তাহ ধরিবার উপায় বিধান করা হইয়াছে। ইহাতে কারাগারে গ্রহণের পর মেয়ে কয়েদিদিগের তালাস ও পরী ক্ষার নিমিত্ত স্বতন্ত্র বিবানও করা হইয়াছে । ২৬ ধারায় যে সকল অম্প বয়স্ক কষেদি যৌবন প্রাপ্ত হইয়াছে তাহাদিগকে ও যে সকল অম্প বয়স্ক কয়েদি যৌবন প্রাপ্ত হয় নাই তাহাদিগকে তফাত তফাত রাখিবার বিধান করা হইয়াছে। ২৮ ধারায় এই বিধান করা হইযাছে যে ডাক্তরকে বা অধস্তন ডাক্তরকে কামরার মধ্যে কয়েদ করা প্রত্যেক কয়েদিকে দিনের মধ্যে অন্ততঃ একবার দেখিতে হইবে । ৩৪ ধারায়।এই বিধান করা হইয়াছে যে যে সকল ফৌজদারী কয়েদির প্রতি পরিশ্রম করিবার দণ্ডাজ্ঞ হইয়াছে তাহাদিগকে হঠাৎ প্রয়োজনের স্থল ভিন্ন দিনে কেবল ৯ ঘন্টা মাত্র খাটাইতে পার। যাইবে । এবং এরূপ হঠাৎ প্রয়োজনের স্থলেও কেবল সুপারিন্টেণ্ডেন্টের লিখিত অনুমতিক্রমে ৯ ঘণ্টার অধিক খাটাইতে পারা যাইবে। কয়েদিদিগের স্বাস্থ্যের প্রতি যাহাতে অধিকতর লক্ষ্য থাকে তজ্জন্য এই ধারায় ফৌজদারী কয়েদিদিগের বৃত্তম্ভের টিকিটে দুই সপ্তাহে অন্ততঃ একবার তাহদের ওজন লিখিবার বিধান করা হইয়াছে এবং যাহাতে কোন কয়েদি যে কাৰ্য্যে নিযুক্ত হয় তাহার দ্বারা তাহার স্বাস্থ্যের কোন হানি না হয় ইহ দেখিবার ভার ডাক্তরের উপর ন্যস্ত হইয়াছে। ৪৪ ধারা। কারাগার সম্বন্ধীয় বর্তমান আইনগুলি বিলাত। আইন দেখিয়া প্রণীত হইয়াছে। এই ধারায় ঐ সকল আইনের সাধারণ সূত্র অবলম্বিত হইয়াছে এবং আইনের মধ্যেই প্রধান জেল সম্বন্ধীয় অপরাধগুলির তালিকা দেওয়া হইযাছে। বিশেষ প্রয়োজনীয় বোধ হওয়ায় কতকগুলি অতিরিক্ত অপরাধও এই ধারায় ধরা হইয়াছে। কিন্তু তথাপিও যাহার ভঙ্গে দণ্ড হইতে পারিবে এমন বিধি প্রণযন করিবার ক্ষমত রক্ষা করা আবশ্যক । কারণ জেন্স সম্বন্ধীয় যে কোন নিযম ভঙ্গ করণই জেল সম্বন্ধীয় অপরাধ এবং জেলে যে২ নিয়ম পালন করিতে হইবে তাহার সকলগুলি এই আইনে ধরা সম্ভব নহে এবং ঐ সকল নিয়মে সংযোজন বা পরি বর্তন করিবার জন্য যে মূতন আইন প্রণয়ন করিতে হইবে ইহাও যুক্তিসিদ্ধ নাই। এই ধারার প্রথম দফা সাধারণতঃ কারাগার সংক্রান্ত নিয়ম সম্বন্ধীয়। ভারতবর্ষের সব্বত্র যাহাতে কয়েদিদিগের প্রতি একইরূপ ব্যব হার হয় তজ্জন্য ঐ দফায় এই বিধান করা হইয়াছে যে ঐ সকল নিয়মের ভঙ্গকরণ দণ্ডার্হ হইতে হইলে যে নিয়মক্রমে অপরাধ স্বস্ট হয় সেই নিয়ম মন্ত্রিসভাধিষ্ঠিত ঐযত গবৰ্ণর জেনরল সাহেব কর্তৃক মঞ্জর হওয়া চাই।