পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ১৮৭৭.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १ ) ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ।--প্রতিবাদির নামে সমম দেওলবিষয়ক বিধি । সপ্তম পরিচ্ছেদ ।--উভয়পক্ষের উপস্থিত হওম ও উপস্থিত মা হওম বিষয়ক বিধি । অষ্টম পরিচ্ছেদ –লিখিত বর্ণনাপত্রবিষয়ক বিধি । মৰম পরিচ্ছেদ –প্রথম শ্রবণের সময়ে উভয় পক্ষের পরীক্ষণবিষয়ক বিধি । দশম পরিচ্ছেদ —দলীল গ্রাহ্য করণের ও দেখিয় লওনের ও অনিবার ও আটক রাখিবার বিধি । একাদশ পরিচ্ছেদ –ইস্ম নিণয়ের বিধি । স্বাদশ পরিচ্ছেদ ।--প্রথম শুনিবার সময়ে মকদ্দম! নিষ্পত্তি করণবিষয়ক বিধি । ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ ।--দিনান্তর নিরূপণের বিধি । চতুর্দশ পরিচ্ছেদ –সাক্ষিদিগকে আহবান করণবিষয়ক বিধি । পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ।—উভয় পক্ষের ও সাক্ষিদের পরীক্ষাবিষয়ক বিধি । ষোড়শ পরিচ্ছেদ ।—নিম্পত্তি ও ডিক্ৰীবিষয়ক বিধি । সপ্তদশ পরিচ্ছেদ ॥—খরচাবিষয়ক বিধি । অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ ।--ডিক্ৰী জারী করণবিষয়ক বিসি । প্রথম পরিচ্ছেদ ।--আদালতের বিচারাধিপত্যের ও পূর্ব নিণীত বিষয়ের বিধি । ১০ ধারা।—যে মকদম উপস্থিত থাকে এই ধারা তদ্বিষয়ক দিধাম সম্বলিত। তন্মধ্যে এই কথা ব্যক্ত হইয়াছে যে, মকদ্দমা ভিন্নদেশের আদালতে উপস্থিত থাকিলেও নালিশ করিবার সেই হেতুমূলক মকদ্দমা ব্রিটনীয় ভারতবর্ষের কোন আদালতে গ্ৰাক্ষ্য ছইবার বাধা নাই । ১৩ ধরা —এই ধারা পূৰ্ণ নির্ণীত বিষয়ের বিধান এবং নৈমিত্তিকরূপে ভিন্নদেশের নিম্পত্তির কোন সম্বলিত। লিনিংস্টন সাহেবের প্রমাণবিষয়ক সূষ্টিনে যে অর্থ নির্ণয় হইয়াছে, ১৮৬৫ সালের পাণ্ডুলিপির ৬ ধারার ন্যায় এই ধারাও অধিকাংশে সেই অর্থমূলক । আইনঘাটত এই সুকঠিন বিষয় সহজে বুলিবার উপায় হইবে বলিয়। আমরা এই স্থলে অনেক উদাহরণ দেওয়া বিধেয় জ্ঞান করিলাম । বিষয়টি পূৰ্ব্ব নিণীত বলিয়া যে আপত্তি করা যায়, তাহ বিচারাধিপত্যসংক্রান্ত কথা নয়, মকদ্দমার বাধাজনক কথা, অতএব এই স্থলে ঐ ধারার প্রয়োগ হওয়ার অ পত্তি হইতে পারে । কিন্তু ১৮৫৯ সালের ৮ অাইমনন্ত ভদখের যে (দ্বিতীয়) ধার; এই পাণ্ডুলিপির প্রথমভাগেই দেওয়া গেল ও এতাদৃশ গুৰুতর বিধান স্বপ্রকাশ স্থানে দেওয়া গেলে সুবিধা হয়, বলিয়া সঙ্গত নিয়মের ব্যতিক্রম ছইলেও এষ্ট স্থানে ঐ ধারার প্রয়োগ করা উচিত বোধ হইল । তায় পরিচ্ছেদ ।—নালিশ করিবার স্থানবিষয়ক বিধি । ., নয়।--দ্ধিবাদীয় বিষয়ের স্থান লক্ষ করিয়া যে মকদ্দম যে আদালতে উপস্থিত করিতে হইবে, ওtছ। এই ধারায় নির্দিষ্ট করা গেল । ষ্টাবর সম্পত্তি বিষয়ক মকদ্দমা, এবং অস্থাবর যে বিষয় আটক লেক করা যায় তাহ পাইবার মকদম ইহার মধ্যে গণ্য । পরন্তু ভূমিসংক্রান্ত প্রতিকণর পাইবার মকদ্দমার পক্ষে, (বিক্রয়ের নিয়মপত্রের নির্দিষ্ট কার্য্য সম্পাদনাদি স্থলে) প্রতিবাদি নিজেই আজ্ঞা লালন করতে প্রাথিত প্রতিকার পাওয়া যাইতে পারিলে এমন মকদম এই ধারার মধ্যে ধরা যাইবে না । উক্ত প্রকার মকদ্দমা হয় ভূমির উপর যে আদালতের বিচারাধিপত্য থাকে তথায়, না হয় প্রতিবাদির উপর যে আদালতের বিচারাধিপতা থাকে তথায়, উপস্থিত করা যাইতে পারিলে । ১৬ ধারা ১৮৬৫ সালের পাণ্ডুলিপির ১০ ধারার শেষভাগের ও ৬১ ধারার সমান । প্রতিবাদির নল খানে কিম্ব নালিশের হেতুর উৎপত্তির স্থানে যে২ মকদং উপস্থিত করিতে হইবে, এই ধারায় তাহারই বিধান । ইহার মধ্যে প্রধান যে বিষয়ের পরিবর্তন করা গেল তাঙ্কা এই,—অনেক জন লভিবাদ থাকিলে ও তাছাদের মধ্যে একজনমাত্র আদালতের বিচারাধীন স্থানের সীমার মধ্যে বাসাদি করিলে, আমাদের বিবেচনায় (ক) ঐ আদালতের অনুমতি না হইলে, কিম্বা (খ) সেই অন্যত্র লিবাসির সন্মত না হইলে, সেই আদালতে মকদ্দম, উপস্থিত করা উচিত নয় । কোন আদালতের বিচারালীন স্থানের মধ্যে মালিশের হেতুর অংশমাত্র উত্থিত হইলে, ও তথায় সকল প্রতিবাদী বাস না করিলে, সেই আদালতে মকদ্দমা উপস্থিত করিবার জন্যে ১৭ ও ১৮ ধারার বিধান করিলাম। উক্ত প্রকার স্থলে আমাদের বিবেচনায় কোন প্রতিবাদী আদালতের আনুষ্ঠানিক কার্য্য স্থগিত হইবার প্রার্থনা করিতে পরিবেন, এবং অন্য আদালতে ঐ মকদম উপস্থিত করা গেলে ন্যায়বিচারের অধিক সম্ভাবনা, এ আদালত এমত জ্ঞান করিলে, চুড়ান্তরূপে কিম্বা অন্য আজ্ঞা না হওন পৰ্য্যন্ত ঐ অনুষ্ঠানিক কায্য স্থগিত রাথিতে পারবেন । এমত স্থলে বাদির দ্বিতীয়বার আদালতের সম্পৰ্কীয় মিয়াদ নিরূপণ করিতে গেলে তাছা উপস্থিত آقف ها به اreirlfrtr = Hع پی করিবার তারিখ অবধি আনুষ্ঠানিক কার্য স্থগিত করিবার তারিখ পর্য্যন্ত যত দিন যায় তত দিন ধরিতে হইবে না। ১৯ ধারায় ইহার বিধান হইল । ২০ ধারা।—যে অন্যায় কাৰ্য্যের লিমিত্ত নালিশ হইতে পারে, হয় তাহার উৎপত্তি স্থানে, ম হয় প্রতিবাদির নিবাস স্থানে মকদ্দমা উপস্থিত করিবার বিধান করা গেল ।