পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8૭ ) আনন্দ যে প্রকারে বলরামকে প্রবঞ্চনা করিয়াছে অভি. যোগপত্রে সেই কথা লিখিতে হইবে । (গ) অনন্দের নামে অমুক সময়ে ও স্থানে মিথ্য সাক্ষ্য দেওয়ান অপরাধের অভিযোগ হইলে, আনন্দের সাক্ষ্যের যে অংশ মিথ্যা বলিয়। কথিত হইল অভিযোগপত্রে সেই অংশ লিখিতে হইবে । (ঘ) বলরাম নামক রাজকীয় কাৰ্য্যকারক রাজকীয় কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করিতেছেন এমন সময়ে আনন্দ অমুক সময়ে ও স্থানে ত"হণ কে বাধা দিয়াছিল বলিয়া আনন্দের নামে অভিযোগ হইলে, বলরামের কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহকরণ সময়ে আনন্দ কি প্রকারে তাহার বাধা দিয়াছিল অভিযোগপত্রে এই কথা লিখিতে হইবে । (ঙ) আনন্দ অমুক সময়ে ও স্থানে বলরামকে বধ করিয়াছে বলিয়া তাহার নামে অভিযোগ হইলে, আনন্দ কি প্রকারে বলরামকে বধ কয়িয়াছিল অভিযোগপত্রে এই কথা লিখিবার আবশ্যকতা নাই । (চ) বলরামের দণ্ড না হয় এই উদ্দেশ্যে আনন্দ আইনের কোন আদেশ অমান্য করিয়াছে বলিয়া তাহার নামে অভিযোগ হয় । যে কাৰ্য্য দ্বার আদেশ অমান্য করা হইয়াছে ও যে আইন লঙ্ঘন হইয়াছে অভিযোগপত্রে তাহ লিখিতে হইবে । প্রত্যেক অভিযোগপত্রে কোন অপরাধ বৰ্ণনা করিতে যে২ *শব্দের ব্যবহার হয় এ অপরাধ যে আইনমতে দণ্ডনীয় সেই আইনে সেই২ শব্দের যে২ অর্থ আছে অভিযোগপত্রে সেই২ অর্থে ব্যবহার হইয়াছে বলিমা জ্ঞান করা যাইবে । २९8 श्रुतिः । যে আইনক্রমে অপরাধের দণ্ড হয সেই আইনমত অর্থে অভিযোগ • পত্রেব শব্দের অর্থ গঙ্গীত হুইলার কথ। । (১) অপরাধ যে প্রকারে লেখা যায় কিম্ব অভিযোগপত্রে যে রত্তান্ত লিখিবর আদেশ হইল তাহ। লিখিতে কোন ভ্রম হইলে, এবং অপরাধ লিখিতে কিম্বা ঐ রত্তান্ত ব্যক্ত করিতে ক্রটি হইলে, যদি সেই ভ্রম কি কটি দ্বারা অভিযুক্ত ব্যক্তির বস্তুতঃ ভ্রম না হইয়। থাকে ও তাহাতে ন্যায়বিচার ব্যর্থ না হইয়! থাকে তবে যোকদ্দমার বিচার করণের কোন কালে ঐ ভ্রম কি ক্রটি গুৰুতর বলিয়া জ্ঞান হইবে না। ২২৫ ধারা । ভ্ৰমের ফলেব কথা । (২) বিশেষ করিয়া নির্দেশ করা হয় নাই কিম্বা অন্য প্রকমে এই অধ্যায়ের আদেশ পালিত ছয় নাই এই হেতুতে কোন অভিযোগপত্র সম্বন্ধে আপত্তি করিতে হইলে তাহা যত শীঘ্ৰ - হয় সুযোগ পাইলেই করিতে হইবে, এবং এরূপে করা না গেলে, অভিযোগপত্র দাড়ামত কি প্রচুররূপ হয় নাই এই হেতুতে কোন উৰ্দ্ধতন আদালত আপীলে বা সংশোধন কালে কোম নির্ণয়, দণ্ডাজ্ঞ বা আজ্ঞা অন্যথা বা পরিবৰ্ত্তিত করিবেন না । উদাহরণ । (ক) আনন্দের নিকট কৃত্রিম মুদ্রা ছিল ও আনন্দ যে সময়ে তাহ পাইয়াছিল সেই সময়ে তাহা কৃত্রিম জানিত বলিয়া ভারতবর্ষের দণ্ডবিধির আইনের ২৪২ ধারামতে তাহার নামে অভিযোগ হইল। কিন্তু অভিযোগপত্রে ** প্রতারণভাবে ? কথা লেখা হয় নাই । সেই শক না লেখাতে আনন্দের বস্তুতঃ ভ্রম হইয়াছে ইহা দৃষ্ট না হইলে ঐ ভ্রম গুরুতর বলিয়া জ্ঞান করিতে হইবে না । (খ) আনন্দের নামে বলরামকে বঞ্চনা করিবার অভিযোগ হয়, কিন্তু কি প্রকারে তাহাকে বঞ্চনা করিয়াছিল এই কথা অভিযোগপত্রে লেখা যায় নাই কিম্বা অশুদ্ধরূপে লেখা গিয়াছে । আনন্দ প্রতিবাদ করিয়া সাক্ষৗদিগকে ডাকিল ও সেই ব্যাপার সম্বন্ধে নিজের বিবরণ জনাইল । আদালত ইহা দেখিয়| সেই বঞ্চনা কাৰ্য্য ষে প্রকারে করা গিয়াছিল, তাহ। না লেখা গুরুতর নয় বলিয়৷ অম্লমান করিতে পরিবেন । (গ) স্মানদের নামে বলরামকে বঞ্চনা করিবার অভিযোগ হয়, কিন্তু কিপ্রকারে তাহাকে বঞ্চনা করিয়াছিল এই কথা ঐ অভিযোগপঞ্জে লেখা যায় নাই । অনেমেদর ও বলরামের মধ্যে অনেক ব্যাপার চলিত ; অতএব কোন ব্যাপার ধরিয়া এ অভিযোগ হইল আনন্দ ইহ| নিরূপণ করিতে না পারিয়া প্রতিবাদ করে নাই । এই স্থলে বঞ্চনা কি প্রকারে করা গিয়াছিল, এই কথা না লেখাই গুরুতর ভ্রম, আদালত উক্ত বৃত্তাম্ব দৃষ্টে এই অনুমান করিতে পারিবেন। (ঘ) আনন্দ ১৮৮২ সালের জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখে খেদাবক্সকে বধ করিয়ছে বলিয়া তাহার নামে অভিযোগ হয় । হত ব্যক্তির প্রকৃত নাম হায়দরবক্স ও ১৮৮২ সালের জাম্বয়ারি মাসের ২০ তারিখে তাহাকে বধ করা হয় । কিন্তু আনন্দের নামে সেই একটা বধাপরাধ ভিন্ন অন্য বধাপরাধের অভিযোগ হয় নাই ও কেবল হায়দরবক্সের বধের বিষয়ে মজিষ্ট্রেটের সম্মুখে তদন্ত লওয়া গেলে আনন্দ উপস্থিত হইয় তাহ শুনিল । এই রত্তান্ত দৃষ্টে আনন্দের ভ্রম হয় নাই ও অভিযোগপত্রে যে ভুল ছিল তাহা গুৰুতর নয়, আদালত এই অনুমান করিতে পারিবেন। (ঙ) আনন্দ ১৮৮২ সালের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে হায়দরবক্সকে বধ করে ও খোদাবক্স তাহাকে । ধরিতে গেলে ১৮৮২ সালের জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখে তাহাকেও বধ করে, আনন্দের নামে এই অভিযোগ হইল । হায়দরবক্সকে বধ করিবার অত্তি যোগে খোদাৰক্সকে বধ করিবার নিমিত্ত তাহার বিচার হয় । তাহার সপক্ষে যে সাক্ষীরা উপস্থিত ছিল তাহারাও ছায়দরবক্সের বধের মোকদ্দমার সাক্ষী । ইহাতে আনন্দের ভ্রম হুইয়াছে ও গুৰুতর ভুল হইয়াছে, আদালত এই অনুমান করিতে পাfরবেন ।