পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( to দ্রব্য গ্রহণ করিয়াছে ইহা দৃষ্ট হইলে তাহার নামে ঐ২ অপরাধের অভিযোগ না হইলেও তাহার অপরাধভাবে বিশ্বাসঘাতকতা কিম্বা স্থলবিশেষে চোরা দ্রব্য গ্রহণ অপরাধ নির্ণয় হইতে পরিবে । (১) কোন ব্যক্তির নামে যে অপরাধ অনেক ক্রিয়ার সমষ্টি সেই অপরাধের অভিযোগ হইয় অভিযোগের এক অংশের প্রমাণ না হইলেও অন্য যে অংশের প্রমাণ হয় তাহাই কোন ক্ষুদ্রতর অপরাধের তুল্য হইলে, তাহার যে ক্ষুদ্রতর অপরাধ প্রমাণ হইল তা হার নামে সেই অপরাধের অভিযোগ না হইলেও তাহার সেই অপরাধ নির্ণয় হইতে পারিবে । (২) কোন ব্যক্তির নামে কোন অপরাধের অতিযোগ হইলে, যদি সেই ব্যক্তি এরূপ রত্তান্তের প্রমাণ দিতে পারে যাহাতে ঐ অপরাধ ক্ষুদ্রতর অপরাধে পরিণত হয়, তবে তাহার নামে ঐ ক্ষুদ্রতর অপরাধের অভিযোগ না হইলেও তাহার ঐ ক্ষুদ্রতর অপরাধ নির্ণয় হইতে পরিবে । (৩) ১৯৮ বা ১৯৯ ধারার অপদেশমত নালিশ করা না গেলে, উক্ত ধারার উল্লিখিত কোন অপরাধ নির্ণয় করিবার ক্ষমতা দেওয়া গেল, এই ধারার কোন কথা ক্রমে এরূপ জ্ঞান হুইবে না | ২৩৮ ধারা । যে অপরাধেব s4মাণ হয় ভাত অভিযোগের অপবাধ মধ্যে ধরা গেলে তাছার क१ी । উদাহরণ । (ক) আনন্দ মুটিয়া বলিয় তাহাকে বিশ্বাসপূৰ্ব্বক কোন দ্রব্য দেওয়া গেলে সে অপরাধভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছে ভারতবর্মের দণ্ডবিধির অাচনের ৪ ,৭ ধারামতে তাঙ্কার নামে এই অভিযোগ হইল । সেই ব্যক্তি ঐ দ্রব্য লইয়। ৪ o৬ ধারামতে অপরাধ · ভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছে কিন্তু মুটিয়। বলিয়া এ দ্রব্য বিশ্বাসপুৰ্ব্বক তাহাকে দেওয়া যায় নাই ইহা দৃষ্ট হইলে ৪০৬ ধারামতে তাঙ্কার অপরাধভাবে বিশ্বাসঘাতকতা অপরাধ নির্ণয় হইতে পারবে । (খ) আনন্দ গুরুতর পীড়া জন্মাষ্টয়াছেন বলিয়া তাহার নামে ভারতবর্মের দণ্ডবিধির আইনের ৩২৫ ধারামত অভিযোগ হয় । তিনি প্রমাণ করেন সে অকস্মাৎ অত্যক্ষ ক্রোধজনক ব্যাপার ঘটাতে তিনি এ কার্য্য করেন। দণ্ডবিধির আইনের ৩৩৫ ধারামতে তাহার অপরাধ নির্ণয় হইতে পারিবে । ২৩৯ ধার। । তুই কি তদধিক ব্যক্তির নামে একই অপরাধের কিম্বা একই যে২ ব্যক্তিদেব অতি ব্যাপারে ভিন্ন ২ অপরাধের যোগ একত্র করা যাইতে পাধে তাহীদের কথ। । অভিযোগ হইলে কিম্বা এক ব্যক্তির নামে অপরাধ করপের ও অন্য ব্যক্তির নামে ঐ অপরাধের সহায়তা করণের কি অপরাধ করিবার উদ্যোগ করণের অভিযোগ ) হইলে, আদালত যেমন উচিত বোধ করেন তেমনি তাহাদের নামে একত্র বা স্বতন্ত্র অভিযোগ ও বিচার হৰতে পারবে । তদ্রুপ সকল অভিযোগের প্রতি এই অধ্যায়ের পূৰ্ব্বভাগের বিধান খাটিবে। উদাহরণ। (ক) আনন্দ ও বলরাম উভয়ের নামে একই বধাপরাধের নালিশ হয় । উভয়ের নামে একই অভিযোগপত্র হইতে পারে ও উভয়ের এককালে বিচার হইতে পরিবে । (খ) আনন্দ ও বলরাম উভয়ের নামে দস্থ্যতার নালিশ হয় । সেই দস্থ্যতা করণ সময়ে আনন্দ কোন ব্যক্তিকে বধ করে, তাহাতে বলরামের সম্পর্ক ছিল না । এমন স্থলে দসু্যতা করণের অভিযোগে আনন্দ ও বলরামের একত্র বিচার হইতে এবং বখাপরাধের নিমিত্ত কেবল আনন্দের বিচার হইতে পারিবে । (গ) আনন্দ ও বলরাম একই চৌর্য্য করিয়াছে বলিয়া দুই জনের নামে নালিশ হয় ; ও সেই ব্যাপারের মধ্যে বলরাম অন্য দুই চৌর্য্যাপরাধ করিয়াছে বলিয়া তাহার নামে নালিশ হয় । যে নালিশমতে আনন্দ ও বলরাম দুই জনের চৌর্য্যাপরাধ করিবাব অভিযোগ হইল সেই অভিযোগে দুই জনের একত্র বিচার এবং অন্য দুই চৌর্য্যাপরাধে কেবল বলরামের বিচার হইতে পারবে । ২৪০ ধারা । একই ব্যক্তির নামে দুই কি তদধিক দফা বিশিষ্ট অভিযোগ হইয়। তন্মধ্যে এক কি অধিক দফা মতে অপরাধ নির্ণয় হইলে বাদী কিম্বা অন্য যে কৰ্ম্মচারী অভিযোগের কার্য্য চালান তিনি আদালতের অমুমতি গ্রহণপুৰ্ব্বক অবশিষ্ট এক কি অধিক অভিযোগ উঠাইয়া লইতে পরিবেন কিম্বা আদালত আপন ইচ্ছামতে এ অভিযোগের তদন্ত লওন কি বিচারকগর্ষ্যে নিরস্ত হইতে পারবেন । তদ্রুপে উঠাইয়া ল ওয়া গেলে সেই কি স্ব সেই ২ অভিযোগে মুক্ত হইবার ন্যায় ফল হইবে। কিন্তু যদি অপরাধ নিৰ্ণয় অসিদ্ধ করা হয়, তাহা হইলে যে আদালত তাহা আসিদ্ধ করেন সেই আদালতের আজ্ঞাধীনে উক্ত আদালত এরূপে উঠাইয়) লওয়া এক অধিক অভিযোগের তদন্তু লওন বা বিচারকার্য্য চালাইতে পারিবেন। অনেক অভিযোগ্য ছ - য়। • কেল প্রমাণ হইলে অন্য সকল অভিযোগ উঠাইয়। লই বার কথা । ২০ বিংশ অধ্যায় । মজিষ্ট্রেটের সমন দিয়া যে মোকদ্দমার বিচার করেন তাহার বিধি । মাজিষ্ট্রেটের সমন দিয়া যে মোকদ ,ার, বিচার করেন সেই মোকদ্দমায় এই প্রণালীমতে কৰ্ম্ম করিবেন। ২৪১ ধারা । সমন দিয়। যে মেলি দমাব ৰিচাব হয় তাহার কার্য্যপ্রণালীৰ কথা ।