পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( to ) ও এতিবাদ করিষ্কার যে কোন সময়ে তাহার প্রতি আদালতে কিম্বা আদালতের সীমা সরহদের মধ্যে উপস্থিত অভিযোগের সপক্ষ ষে কোন সাক্ষীকে পূৰ্ব্বে অভিষোণাত্মক বৃত্তান্ত সম্বন্ধে জেরা করা হয় নাই তাহাকে পুনরায় ডাকিয়া জেরা করিতে অনুমতি হইবে। (২) যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন লিখিত বর্ণনাপত্ৰ অর্পণ করে তবে মাজিষ্ট্রেট জাহা নর্থীর সঙ্গে রাখিবেন। ক্ত ব্যক্তি মাজিষ্ট্রেটের পূৰ্ব্বে ঐ মোকদমায় অভিযুক্ত ব্যক্তির প্রার্থনা যাহার পরীক্ষা গৃহীত হইয়াছে মতে সাক্ষ্য উপস্থিত করা- কি হয় নাই এমন কোন ইবার কথ। । সাক্ষীকে পরীক্ষা বা জেরার নিমিত্ত উপস্থিত করাইবার জন্যে অথবা কোন দলীল কি অন্য দ্রব্য উপস্থিত করাইবার নিমিত্ত কোন পর ওয়ানা দিবার প্রার্থনা করিলে, মাজিষ্ট্রেট ঐ পরওয়ানা দিৰেন । কিন্তু উক্ত প্রার্থনাপত্র কষ্ট দিবার কি বিলম্ব ঘটাইবার বা সুবিচারের উদ্দেশ্য বিফল করিবার নিমিত্ত উপস্থিত করা গিয়াছে বলিয়া তাহ অগ্রাহ্য করা উচিত এরূপ বিবেচনা করিলে, তিনি ঐ হেতু লিপিবদ্ধ করিয়া পরওয়ানা দিবেন না । (২) অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন সাক্ষীকে জেরা করিলে বা জেরা করিবার সুযোগ প্রাপ্ত হইলে পর এই ধারামতে ঐ সাক্ষীকে বলপুৰ্ব্বক উপস্থিত করা যাইবে না, কিন্তু সুবিচারের প্রয়োজনার্থ এরূপ করা আবশ্যক, মাজিষ্ট্রেটের এরূপ প্রতীতি হইলে করা যাইতে পারিবে । (৩) তদ্রুপ প্রার্থনামতে কোন সাক্ষীকে সমন দিবার পূৰ্ব্বে মাজিষ্ট্রেট আদেশ করিতে পরিবেন যে, উক্ত বিচারের নিমিত্ত উপস্থিত হইতে তাহার যে যুক্তিমত খরচ পড়ে তাহা আদালতে আমানত করা योझ ॥ ২৫৮ ধারা । মুক্তকরণের কথা । ২৫৭ ধারা । (১) অ (১) এই অধ্যায়মত কোন মোকদ্দমায় অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা গেলে মাজিষ্ট্রেট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্দোষী নির্ণয় করিলে মুক্ত করণের আজ্ঞ লিপিবদ্ধ করিবেন । (২) এরূপ মোকদ্দমায় অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ নির্ণয় করিলে মাজিষ্ট্রেট আইনমতে তাহার দণ্ডের আজ্ঞা দৌধী নির্ণয় করণের কথা। করিবেন । ২৫১ ধারা। নালিশক্রমে কাৰ্য্যামৃষ্ঠান হইলে মোকদম শুনিবার কোন নিরূপিত দিনে বাদী উপস্থিত না হইলেও আইনমতে অপরাধের রফ হইতে পারিলে মাজিষ্ট্রেট, স্বীয় বিবেচনামতে পূৰ্ব্বে এই আইনে প্রকারাম্ভরের কথা থাকিলেও অভিযোগপত্র প্রস্তুত করিবার পুৰ্ব্ব কোন সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছাড়িয়া দিতে পারিবেন। বাদী উপস্থিত না থাকিবার কথা । ২২ দ্বাবিংশ অধ্যায় । সরাসর বিচারের কথা । সরাসবী বিচার করিবার ক্ষমতার কথা । ২৬০ ধারা । (১) এই আইনে প্রকারান্তরের কথা থাকিলেও, (ক) জিলার মাজিষ্ট্রেট সাহেব এবং (খ) এতদৰ্থে স্থানীয় গবৰ্ণমেণ্ট হইতে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর কোন মাজিষ্ট্রেট এবং (গ) প্রথম শ্রেণীর মাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ও এতদৰ্থে স্থানীয় গবৰ্ণমেন্টের স্থানে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত মাজিষ্ট্রেটদের কোন বেঞ্চ, বিহিত বোধ করিলে নিম্নলিখিত সমুদয় কি অন্যতর অপরাধের সরাসর বিচার করিতে পারি বেন ৪— (ক) যে অপরাধের নিমিত্ত প্রাণদণ্ড কি দ্বীপান্তর প্রেরণ দণ্ড কি ছয় মাসের অধিক কান্সের কারাদণ্ড না হয় সেই অপরাধ । (খ) ভারতবর্ষের দণ্ডবিধির আইনের ২৬৪ ও ২৬৫ ও ২৬৬ ধারামতে ওজন ও পরিমাপণ যন্ত্রবিষয়ক অপরাধ । (গ) উক্ত আইনের ৩২৩ ধারামতে পীড়া জন্মাওন । (ঘ) চোরা দ্রব্যের মূল্য ৫০) টাকার অধিক না হইলে উক্ত আইনের ৩৭৯ বা ৩৮০ বা ৩৮১ ধারামতে চৌর্য্য । (ঙ) চোরা দ্রব্যের মূল্য ৫০ টাকার অধিক না হইলে উক্ত আইনের ৪১১ ধারামতে চোরাদ্রব্য গ্রহণ বা রাখা । (চ) চোরা দ্রব্যের মূল্য ৫০ টাকার অধিক না হইলে উক্ত মাইনের ৪১৪ ধারামতে ঐ দ্রব্য গোপন বা বিক্রয় প্রভৃতি করণের সাহায্য করণ। (ছ) উক্ত আইনের ৪২৭ ধারামতে অপকার

  • করণ |

(জ) উক্ত আইনের ৪৪৮ ধারামতে গৃহে অন ধিকার প্রবেশ করণ । (ঝ) উক্ত আইনের ৫০৪ ধারামতে শান্তিভঙ্গ করাইবার উদ্দেশে অপমান করণ ও ৫০৬ ধারামতে অপরাধভাবে ভয় দশাওন। (ঞ) পূৰ্ব্বোক্ত কোন অপরাধের সহায়তা করণ । (ট) পূৰ্ব্বোক্ত কোন অপরাধ করিবার উদ্যোগে অপরাধ হইলে, ভদ্রুপ উদ্যোগ !