বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভীমগীতা

না। তার পর তাকে কর্মযোগ জ্ঞানযোগ ভক্তিযোগ প্রভৃতিও বোঝালুম। অর্জুনের মোহ দূর করতে আমাকে প্রায় দুটি ঘণ্টা বকতে হয়েছিল।

 ভীম। দুর্যোধনের দল আমাদের উপর কিরকম অত্যাচার করেছিল অর্জুন তা ভুলে গেছে নাকি? তুমি সব মনে করিয়ে দিয়েছিলে তো?

 কৃষ্ণ। মনে করিয়ে দেবার কথা আমার মনেই পড়ে নি।

 ভীম। বল কি হে মধুসূদন! ছেলেবেলায় আমাকে বিষ খাইয়ে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছিল, জতুগৃহে আমাদের সকলকে পুড়িয়ে মারবার চেষ্টা করেছিল, এসব কথা অর্জুনকে বল নি?

 কৃষ্ণ। কই, না।

 ভীম। আশ্চর্য, এর মধ্যেই তোমার ভীমরতি হ’ল নাকি? পাশা খেলায় শকুনির জয়োচুরি, দুঃশাসনের হাতে পাঞ্চালীর নিগ্রহ, এসবও মনে করিয়ে দাও নি! উঃ, দুঃশাসনের নাম করলেই আমার রক্ত টগবগ ক’রে ফুটে ওঠে। আচ্ছা, আমাদের কথা না হয় ছেড়ে দিলে, কিন্তু তুমি যখন ধর্মরাজের দূত হয়ে সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে কৌরবসভায় গিয়েছিলে তখন দুর্যোধন তোমাকে বন্দী করতে চেয়েছিল। তার পর সেদিন শকুনির ব্যাটা উলূক এসে দুর্যোধনের হয়ে তোমাকে যাচ্ছেতাই গালাগাল দিয়ে গেল, এও তুমি ভুলে গেছ নাকি?

 কৃষ্ণ। কিছুই ভুলি নি। কিন্তু যুদ্ধের আগে এসব কথা

১১১