পাতা:গল্পগুচ্ছ (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় సి0ఫిసి গিন্নি গিন্নি বলিয়া একটা ছোট গল্প লিখিয়াছিলাম ; সেটা নমাল স্কুলেরই সমতি হইতে লিখিত।” —রবীন্দ্রনাথ। জীবনসমতির পাণ্ডুলিপি কুমশ নমাল স্কুলের সমতিটা যেখানে ঝাপসা অবস্থা পার হইয়া সফটতর হইয়া উঠিয়াছে সেখানে কোনো অংশেই তাহা লেশমাত্র মধর নহে। ...শিক্ষকদের মধ্যে একজনের কথা আমার মনে আছে, তিনি এমন কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করিতেন যে তাহার প্রতি অশ্রদ্ধাবশত তাঁহার কোনো প্রশ্নেরই উত্তর করিতাম না। সবৎসর তাঁহার ক্লাসে আমি সকল ছাত্রের শেষে নীরবে বসিয়া থাকিতাম ॥৭ —রবীন্দ্রনাথ। নমাল স্কুল। জীবনসমতি এই পণ্ডিতটি ক্লাসের ছেলেদের অদ্ভুত নামকরণ করিয়া কিরাপ লজিত করিতেন যাপনায় হিতবাদীতে ] গিন্নি-নামক যে গল্প বাহির হইয়াছিল তাহাতে সে বিবরণ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। আর একটি ছেলেকে তিনি ভেটকি বলিয়া ডাকিতেন, সে বেচারার গ্রীবার অংশটা কিছুটা প্রশস্ত ছিল।” —রবীন্দ্রনাথ। জীবনস্মতির দ্বিতীয় পাণ্ডুলিপি দালিয়া দালিয়া গল্পটায় ইতিহাস যেটুকু আছে সে আছে গল্পের বহিঃপ্রাঙ্গণে— অর্থাৎ গাছে চড়িয়ে দিয়ে মই নিয়েছে ছটি। আসল গলপটা ষোলো আনাই গল্প। ৭ আশ্বিন ১৩৩৮ —রবীন্দ্রনাথ। চিঠিপত্র ৯ কণ্ডকাল ছেলেবেলা আমরা যে ঘরে শতুম, তাতে একটা মেয়ের skeleton বলেনো ছিল।" আমাদের কিন্তু কিছ ভয়-চয় করত না। তার পর অনেক দিন কেটে গিয়েছে, আমার বিয়ে-টিয়ে হয়ে গিয়েছে, আমি তখন ভিতর-বাড়িতে শই। একদিন কয়েকজন আত্মীয়া এসেছেন, তাঁরা আমার ঘরে শোবেন, আমার উপর হরকুম হয়েছে বাইরে শোবার। অনেক দিন পরে আমি আবার সেই ঘরে এসে শায়েছি। শয়ে চেয়ে দেখলাম, সেজের আলোটা ক্ৰমে কাঁপতে কাঁপতে নিবে গেল। আমার মাথায় বোধ হয় তখন রন্ত বোঁ বোঁ করে ঘরেছিল, আমার মনে হতে লাগল কে যেন মশারির চার দিকে ঘরে বেড়াচ্ছে, বলছে আমার কঙ্কালটা কোথায় গেল? আমার কঙ্কালটা কোথায় গেল ? রমে মনে হতে লাগল সে দেয়াল হাতড়ে হাতড়ে বন বন করে ঘরতে আরম্ভ করেছে। এই আমার মাথায় গল্প এসে গেল আর-কি।