tషి 8 গল্পগুচ্ছ
শেষের রাত্রি
“মাসি!”
“ঘমোও যতীন, রাত হল যে।”
“হোক-না রাত, আমার দিন তো বেশি নেই। আমি বলছিলম, মণিকে তার , বাপের বাড়ি— ভুলে যাচ্ছি, ওর বাপ এখন কোথায়—”
“সীতারামপারে।”
“হাঁ, সীতারামপারে। সেইখানে মণিকে পাঠিয়ে দাও, আরও কতদিন ও রোগীর সেবা করবে ! ওর শরীর তো তেমন শক্ত নয়।”
“শোনো একবার ! এই অবস্থায় তোমাকে ফেলে বউ বাপের বাড়ি যেতে চাইবেই
বা কেন ।”
"ডাক্তারেরা কী বলেছে সে কথা কি সে—”
“তা সে নাই জানল— চোখে তো দেখতে পাচ্ছে। সেদিন বাপের বাড়ি যাবার কথা যেমন একট ইশারায় বলা অমনি বউ কে’দে অস্থির।”
মাসির এই কথাটার মধ্যে সত্যের কিছু অপলাপ ছিল সে কথা বলা আবশ্যক । মণির সঙ্গে সেদিন তাঁর এই প্রসঙ্গে যে আলাপ হইয়াছিল সেটা নিম্পনলিখিত
মতো । -
“বউ, তোমার বাপের বাড়ি থেকে কিছু খবর এসেছে বুঝি ? তোমার জাঠততো ভাই অনাথকে দেখলাম যেন।"
“হাঁ, মা বলে পাঠিয়েছেন, আসছে শুক্লবারে আমার ছোটো বোনের অন্নপ্রাশন । "سجrafتي يخرج
“বেশ তো বাছা, একগাছি সোনার হার পাঠিয়ে দাও, তোমার মা খুশি হবেন।” “ভাবছি আমি যাব। আমার ছোটো বোনকে তো দেখি নি, দেখতে ইচ্ছে করে।” “সে কী কথা। যতীনকে একলা ফেলে যাবে! ডাক্তার কী বলেছে শুনেছ তো ?” “ডাক্তার তো বলছিল, এখনো তেমন বিশেষ—” “তা যাই বলক, ওর এই দশা দেখে যাবে কী করে।” “আমার তিন ভাইয়ের পরে এই একটি বোন, বড়ো আদরের মেয়ে—শনেছি থম করে অন্নপ্রাশন হবে- আমি না গেলে মা ভারি-”
“তোমার মায়ের ভাব বাছা, আমি বঝেতে পারি নে। কিন্তু, যতীনের এই সময়ে তুমি যদি যাও তোমার বাবা রাগ করবেন, সে আমি বলে রাখছি।”
“তা জানি । তোমাকে এক লাইন লিখে দিতে হবে মাসি, যে, কোনো ভাবনার কথা নেই— আমি গেলে বিশেষ কোনো—”
“তুমি গেলে কোনো ক্ষতিই নেই সে কি জানি নে। কিন্তু, তোমার বাপকে যদি লিখতেই হয়, আমার মনে যা আছে সব খালেই লিখব।”
“আচ্ছা বেশ– তুমি লিখো না। আমি ওঁকে গিয়ে বললেই উনি—” “দেখো বউ, অনেক সয়েছি—কিন্তু, এই নিয়ে যদি তুমি যতীনের কাছে বাও
পাতা:গল্পগুচ্ছ (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১৮৪
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
